ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ
ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৪

প্রথমবার চেলসির শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েই আলো ছড়ালেন জোয়াও পেদ্রো। সাবেক ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে করলেন জোড়া গোল। তার পারফরম্যান্সেই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
বুধবার (৮ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। দলের হয়ে দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
গত ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে অভিষেক হয়েছিল পেদ্রোর। এবার শুরুর একাদশে খেলেই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন তিনি। ২০২০ সালে যে ক্লাব থেকে বিদায় নিয়েছিলেন, সেই ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষেই তার এমন দারুণ পারফরম্যান্স। তবে গোল করার পর উদযাপন করেননি পেদ্রো—দু’হাত তুলে যেন সাবেক সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রথম গোল আসে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে সাবেক ক্লাবের জালে বল জড়ান পেদ্রো। এরপর প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় ফ্লুমিনেন্স। চেলসি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে নেওয়া হারকিউলিসের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়া। প্রথমার্ধে ফ্লুমিনেন্স একটি পেনাল্টিও দাবি করেছিল। তবে ভিএআর জানিয়ে দেয়, চেলসি ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবলটি অনিচ্ছাকৃত।
বিরতির পর ৫৫তম মিনিটে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন পেদ্রো। এনজো ফার্নান্দেজের থ্রু পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে বল পাঠান জালে। শটটি ক্রসবারে লেগে গোললাইনের ভেতর পড়ে। দ্বিতীয়বারও দু’হাত তুলে নিরুত্তাপ উদযাপন করেন তিনি।
ম্যাচে বল দখলে চেলসি ছিল কিছুটা এগিয়ে। ৫৪ শতাংশ পজেশন রেখে নেয় ১৭টি শট, যার ৫টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ফ্লুমিনেন্স নেয় ১২টি শট, এর মধ্যে মাত্র ৩টি ছিল লক্ষ্যে।
শেষ মুহূর্তে আক্রমণ চালিয়ে গেলেও ফ্লুমিনেন্স আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। স্টপেজ টাইমে চেলসি মিডফিল্ডার ময়েসেস কায়কেদো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ২০১২ ও ২০২১ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল চেলসি। এবার তৃতীয়বারের মতো শিরোপার লড়াইয়ে উঠল তারা। রোববার রাতে ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির মধ্যকার বিজয়ী দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি আজ বুধবার রাতেই অনুষ্ঠিত হবে।
- এটিআর