বড় হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে শিরোপা হাতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ২১:১৩
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৭

ছবি : সংগৃহীত
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বেশ দাপুটে জয় তুলেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। তবে, সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে সেই পুরোনো ছন্দেই ধরা দিল লাল-সুবজের দল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কাছে ৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন লিটনরা।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সাহিবজাদা ফারহান।
আগের দুই ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি। প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পাকিস্তান। বিশেষ করে সাহিবজাদা ফারহান। এই ওপেনার রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন! মিরপুরের স্লো উইকেটেও হেসে-খেলে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
ফারহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তোলে পাকিস্তান। তবে পাওয়ার প্লে শেষে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সায়িম আইয়ুবকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ১৫ বলে ২১ রান করেছেন এই ওপেনার।
সায়িমের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সাহিবজাদা। তবে তার আগেই ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার। মাত্র ২৯ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। নাসুমের বলে মেহেদির হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে সবমিলিয়ে ৪১ বলে ৬৩ রান করেছেন তিনি।
মিডল ওভারগুলোতে কিছুটা ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তাতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিস, হোসাইন তালাত কিংবা ফাহিম আশরাফের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ১৫ বলে ২৭ আর অধিনায়ক সালমান আগার ৯ বলে ১২ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় পাকিস্তান।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ইনফর্ম ওপেনার তানজিদ তামিম। সালমান মির্জার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। যদিও আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি, তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান।
ডাক খেয়ে তামিম ফেরায় বাড়তি দায়িত্ব ছিল লিটন দাসের কাঁধে। কিন্তু অধিনায়ক উল্টো দলের চাপ বাড়িয়েছেন। ৮ বলে ৮ রান করেছেন তিনি। চারে নামা মেহেদি মিরাজ ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। ইতিবাচক শুরু পেলেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি। ফাহিম আশরাফের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮ বলে ৯ রান করেছেন তিনি।
টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে সুবিধা করতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও। শেখ মেহেদি-জাকের আলিরাও যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন সালমান মির্জা। এরপর সাইফুদ্দীনের সঙ্গে কিছুটা আশা জাগালেও লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি নাসুম। ১৩ বলে ৯ রান করে ধরা দেন হোসাইন তালাতের হাতে। অপরপ্রান্তে সাইফের সঙ্গে যুক্ত হন পেসার তাসকিন। তবে সাইফকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তিনিও। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন সাজঘরে (৭)। এরপর মাঠে নেমে একইভাবে ফেরেন শরিফুলও। দুই ওভার দুই বল হাতে থাকতেই ১০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন সাইফ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ সালমান মির্জা। এ ছাড়া ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্দ নাওয়াজ পেয়েছেন দুইটি করে উইকেট। অন্যদিকে, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। এ ছাড়া নাসুম ২ এবং সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।