-(88)-6898aaaf1af70.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
একের পর এক সাফল্য গেঁথে চলেছে দেশের নারী ফুটবল। জাতীয় দলের পর প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলও।
বড়দের দেখানো পথেই পা রাখল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। জাতীয় দলের পর তারাও জায়গা করে নিলো ইতিহাসে। গত মাসে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করে জাতীয় দল।
রোববার (১০ আগস্ট) এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করল সাগরিকারা।
বাছাইপর্ব শেষে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও তৃতীয় সেরা রানার্স-আপ হয়ে মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ডে আগামী বছরের এপ্রিলে ১২ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। স্বাগতিক হিসেবে যেখানে সরাসরি অংশ নেবে থাইল্যান্ড। বাকি ১১ দল জায়গা করে নেবে বাছাইপর্ব থেকে। এর মধ্যে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি জায়গা পাবে মূলপর্বে। আর গ্রুপগুলোর মধ্যে থেকে সেরা তিন রানার্স-আপ সুযোগ পাবে তাদের সঙ্গে।
বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সরাসরি জায়গা করে নেয়ার। বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল সাগরিকারা। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল সবুজরা। রোববার (১০ আগস্ট) ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি মূলপর্ব নিশ্চিত করতে পারত বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটি ৬-১ ব্যবধানে হেরে সে সুযোগ হাতছাড়া করে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। যদিও এ হার আটকাতে পারেনি লাল সবুজদের মূলপর্বে খেলা।
‘ই’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে চীনের কাছে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে লেবানন হারায় তৃতীয় সেরা রানার্স-আপ হয়ে থাইল্যান্ডের টিকিট নিশ্চিত করেছে আফঈদারা। এ ম্যাচে লেবানন জিতলে বা ড্র করলে তৃতীয় সেরা রানার্স-আপের জায়গা হারাত বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হতো ‘সি’ গ্রুপের অস্ট্রেলিয়া-চাইনিজ ম্যাচের দিকে। তবে লেবানন হারায় আগেভাগেই ফুরিয়ে গেছে অপেক্ষা। সেরা তিন রানার্স-আপের তালিকায় বাকি দুদল জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে না হারলে এ দুদলের জায়গা হারানোর শঙ্কা ক্ষীণ।
- এমআই