বিসিবি নির্বাচনের কারণেই কি কোয়াব থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম?

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৫

কোয়াব নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন তামিম ইকবাল || ছবি : সংগৃহীত
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে ক্রিকেটাঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
এবার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও বর্তমান তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন। এদের মধ্যেই নির্ধারিত হবে কোয়াবের নতুন নেতৃত্ব।
এদিকে কোয়াব নির্বাচন ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের মেলা, উৎসবের আবহ। সাবেক-বর্তমান সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, ক্রিকেটাররা মেতে উঠেছেন আড্ডায়।
এদিন সাদা পাঞ্জাবি পরে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও এসেছিলেন ভোট দিতে। তবে কোয়াবের সভাপতি পদে নির্বাচন করার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত দাঁড়াননি তামিম।
কিন্তু আগামী মাসে হতে যাওয়া বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অপেনার তামিন বর্তমানে আলোচনার তুঙ্গে । তবে কোয়াবে অংশগ্রহণ করেন নি কেন? এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারাও জানেন আমি কী কারণে (কোয়াব নির্বাচনে) আসিনি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।’
এতে বুঝাই যাচ্ছে যে তামিমের ইঙ্গিতটা বিসিবির নির্বাচনের দিকেই। কারণ বিসিবির পরিচালক বা সভাপতি নির্বাচিত হলে তার পক্ষে আর কোয়াবের কমিটিতে থাকা সম্ভব হতো না। যদিও অতীতে এই রীতি মানার নজির নেই।
কোয়াব পরিচালনায় এখনো কিছু ভুল-ভ্রান্তি থেকে গেলেও ভবিষ্যতে সেগুলো দূর হবে এমনটি জানিয়ে তামিম বলেন, ‘এখানে অনেক কিছু আছে যা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, এমন হতে পারত, অমন হতে পারত। আমাদের মূল ইচ্ছা ছিল নির্বাচনটা হয়ে যাক, কমিটি হয়ে যাক। তারপর তাদের হাতে ২ বছর সময় থাকবে। এর মধ্যে সব সিস্টেমেটিকভাবে করে ফেলতে হবে। এখন পর্যন্ত খুব ভালো লাগছে।’
এবার কোয়াবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে শুধু সভাপতি পদেই। বাকি ১০টি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল পদ ছেড়ে দেন। এরপর সেলিম শাহেদের অধীনে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে এবারের নির্বাচন।
এএ