
বিসিবি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছবি : সংগৃহীত
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলে।
তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বোর্ড পরিচালক পদে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা।
নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে ৪৩ এবং সি ক্যাটাগরি থেকে ৪৪ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে, যদিও নির্বাচনে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বয়কট ঘোষণা করেছিলেন।
নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের জটিলতা থাকলেও রোববার আদালত নিশ্চিত করেছেন, ভোটগ্রহণে আর কোনো স্থগিতাদেশ নেই। এর ফলে ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার পুনরায় কার্যকর হয়েছে।
এদিকে ক্লাব ও জেলা পর্যায়ের কিছু প্রার্থী বিভিন্ন কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। তবে ইফতেখার রহমান মিঠু ও লুৎফর রহমানের মতো প্রার্থীরা এখনও নির্বাচনে রয়েছেন এবং জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিসিবি সভাপতি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আমাদের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচনের দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হচ্ছে। আমি সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখছি। যারা ভোট দিতে আসেননি বা বয়কট করেছেন, তা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
নির্বাচনের পর বোর্ড পরিচালক ও সভাপতি-সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
ডিআর/এমএইচএস