বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’। প্রতিযোগিতা চলবে ১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর, যেখানে অংশ নেবেন ১৮০ জন খেলোয়াড়।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনার স্কোয়াশ কোর্টে এবারের আসর উদ্বোধন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বেলুন উড়িয়ে এবং টুর্নামেন্টের জার্সি উন্মোচন করে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অব.)-সহ নির্বাহী কমিটির সদস্যগণ, উর্মি গ্রুপের পরিচালক ফায়েজ রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তা, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মিডিয়া এডভাইজার আব্দুল বারী, বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিমসহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং অভিভাবকবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ‘গত চার বছরে দেশে স্কোয়াশ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে সামনে সুদিন আসবেই।’

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কোয়াশকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া, নতুন খেলোয়াড় তৈরি করা, খেলার মান উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশের স্কোয়াশকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।’

উর্মি গ্রুপের প্রতিনিধি ফায়েজ রহমান বলেন, ‘খেলাটির প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে উর্মি গ্রুপ আগামী দিনগুলোতেও ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।’

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশে মৃত্যপ্রায় স্কোয়াশ খেলাকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজে স্কোয়াশ ফেডারেশনের পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ।’

উল্লেখ্য, উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন আয়োজিত এ জাতীয় প্রতিযোগিতা এবার পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সময়ের বিবর্তনে ম্লানমুখী এই খেলাকে বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে খেলোয়াড়রা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সকল সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে আঞ্চলিক পর্ব শেষ হয়েছে। সেখান থেকে বিজয়ী ও নির্বাচিত ৮০ জন খেলোয়াড়কে নিয়েই শুরু হয়েছে শিরোপার লড়াই। প্রতিযোগিতা নয়টি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চূড়ান্ত পর্বের গ্রুপগুলো হলো : উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত মেম্বার, ১১ বছরের কম, ১২-১৩ বছর, ১৪-১৫ বছরের ছেলে ও মেয়েদের পৃথক গ্রুপ।

চার দিনব্যাপী চূড়ান্ত রাউন্ডের প্রতিযোগিতা রাউন্ডরবিন লীগ ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আই ইউ বি, মিরপুর আইডিয়াল কমার্স কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, শহীদ আনোয়ার কলেজ, ভাষানটেক স্কুল, কালশী ইসলামিয়া হাই স্কুল, গোল্ডেন বাংলা আইডিয়াল স্কুল, ফাতেমা আজিজ স্কুল, জামুরীপাড়া স্কুল, ঠাকুরগাঁও, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, কালাচাঁদপুর স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরা পুলিশ কলেজ, ঢাকা স্কোয়াশ একাডেমি।

উন্মুক্ত পুরুষ গ্রুপে ছিলেন উত্তরা ক্লাবের সুমন ও আরিফ, গুলশান ক্লাবের সৈকত, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাইফুল, বিকেএসপির সাইমুন, পারভেজ, আমিনুল, আর্মির রনি, শাহাদাৎ, মাসুম, আপন, রাকিব, আজিজ, নায়েব ও শরিফ।

মেয়েদের গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছিলেন আই ইউ বি’র উর্ধু ও জ্যতি, শহীদ আনোয়ার কলেজের রাফিয়া, নির্ঝর স্কুলের নাবিলা, উত্তরা পুলিশ কলেজের চাঁদনী সরকার, ভাষানটেক স্কুলের ফাহমিদা ও মেঘনা, গোল্ডেন বাংলা স্কুলের মীম।

উন্মুক্ত মেম্বার গ্রুপে ছিলেন ফজলে ওয়ালী, ওয়ালিদ হাসান, জাকির মো. হোসাইন, মো. আবু কায়সার, আশিকুর রহমান, মো. রায়হান, লে. কর্নেল সামস, মোহামেন হক আলিফ, আসাদ, সাদমান উদ্দিন খান, ব্যারিস্টার সারোয়ার ও মো. মবিন। তারা আগামী চার দিন নিজেদের গ্রুপে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়াই করবেন।

এইচকে/এমএইচএস