
ছবি : সংগৃহীত
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানে জিতে বাংলাদেশের সিরিজ শুরু হলো দারুণভাবে। দলের মূল নায়ক হিসেবে উজ্জ্বল ছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে ৬ উইকেট নেন রিশাদ। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে জেইডেন সিলসকে আউট করে ১৩৩ রানে অলআউট করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
রিশাদ ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করে ৬ উইকেট নেন। এ নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা বোলিং রেকর্ড হয়েছে। আগের রেকর্ডে ৬ উইকেট নিয়েছেন পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন, ৬/৪৩ করে মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডেতে আগের সেরা বোলিং ছিল তাইজুল ইসলামের। ২০২২ সালে প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচে অন্যান্য বোলাররাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ স্লো বল ৮ম ও ৯ম উইকেট এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তানভীর ইসলামও ১০ ওভারে ১ উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরু ছিল ধীর। ওপেনার সাইফ হাসান (৩) ও সৌম্য সরকার (৪) দ্রুত আউট হলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ৭১ রানের জুটি দলের ইনিংসকে কিছুটা স্থিতি দিয়েছে। অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম ৭৬ বলে ৪৬ রানে ফিরলেও মাত্র ৪ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন।
শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলামের ঝোড়ো ব্যাটে দলটি ২০৭ রানে শেষ ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হয়। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শেষ তিন ইনিংসের স্কোর যথাক্রমে ২০৯, ১৭১ ও ২০৭, আগের দুই ম্যাচ হেরে এই জয় দলকে আত্মবিশ্বাস যোগাল।
বাংলাদেশ ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে এটি মাত্র দ্বিতীয় জয়। সিরিজে এখন বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০৭ (হৃদয় ৫১, মাহিদুল ৪৬, নাজমুল ৩২, রিশাদ ২৬; সিলস ৩/৪৮, চেজ ২/৩০, গ্রিভস ২/৩২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৩৩ (রিশাদ ৬/৩৫, মিরাজ ১/১৬, মোস্তাফিজ ২/২৭, তানভীর ১/৪৬)