মেসিকে ‘দেখতে না পেয়ে’ কলকাতার স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা, আয়োজক গ্রেপ্তার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৪
‘মেসিকে একবার চোখের দেখা দেখতে চার হাজার টাকার টিকিট চড়া দামে কিনেছিলাম। মন্ত্রীদের দেখতে কষ্টের পয়সা নষ্ট করিনি,’ কথাগুলো বলছিলেন ফুটবলপ্রেমী প্রদীপ ধর।
লিওনেল মেসির অসংখ্য অনুরাগীর মধ্যে যারা শনিবার সকাল হতে না হতেই কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন পূর্বনির্ধারিত ‘জি.ও.এ.টি. ইন্ডিয়া ট্যুর’- সফরে তার একটা ঝলক দেখার জন্য, তাদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
মেসি তার কাছে ‘ঈশ্বর দর্শনের সমান’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খড়্গপুর থেকে কাল গভীর রাতে এসে স্টেশনে কাটিয়েছি। টিকিটের টাকা কষ্ট করে জোগাড় করেছিলাম শুধুমাত্র ঈশ্বরকে একবার দেখব বলে!’
একই অভিজ্ঞতা হয়েছে যুবভারতী স্টেডিয়ামে আসা হাজার হাজার দর্শকের। বেস প্রাইসের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হওয়া টিকিট কেটে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন অনেকে।

মাঠে এসে দর্শকদের দেখা দেওয়া ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ছাড়াও মেসির ৭০ ফুট উঁচু মূর্তি ভার্চুয়ালি উদ্বোধনসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল এই ফুটবল তারকাকে ঘিরে।
এই অনুষ্ঠানের জন্য ছোট সন্তান আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন শাহরুখ খান। তারও মাঠে প্রবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল অন্যরকম।
লিওনেল মেসি মাঠে ঢোকার পর তাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ের বাইরেও উদ্যোক্তা, নেতা-মন্ত্রী ও সেলিব্রিটিদের ভিড়ের কারণে তাকে ভালোভাবে গ্যালারি থেকে দেখতে না পাওয়া দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
একসময় সেই ক্ষোভ আরো বাড়ে এবং দর্শকদের আসন থেকে উড়ে আসতে থাকে প্লাস্টিকের জলের বোতল। পরে নিরাপত্তার কারণে মেসিকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি ফিরে যাওয়ায় মাঠে আসার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কনভয়কেও ফিরে যেতে হয়।
এদিকে লিওনেল মেসি সময়ের আগে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ায় মাঠ ও গ্যালারি জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আসন ভাংচুর করা হয়, টার্ফ নষ্ট করা হয়। মাঠে নেমে আসেন ক্ষুব্ধ দর্শকদের একাংশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামানো হয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স বা র্যাফ। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিতে থাকেন দর্শকরা।
একদিকে যখন স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে, তখন অন্যদিকে লিওনেল মেসি ও শাহরুখ খান শহর ছাড়েন।
পুরো পরিস্থিতি নিয়ে লিওনেল মেসি ও ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চান মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের তরফে জানানো হয়, অব্যবস্থাপনার জন্য অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ মৌখিকভাবে জানিয়েছে, টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোক্তারা যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানের দিন এমন বিশৃঙ্খলাকে ঘিরে কলকাতার যে ছবি বিশ্বের কাছে ফুটে উঠল, সেই নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকে।
-693d7014ec368.jpg)
কেন এই ছন্দ কাটল?
ভারত সফরে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ও দিল্লি মিলিয়ে চারটে শহরে একাধিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রয়েছে লিওনেল মেসির। সব অনুষ্ঠানই সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও উপস্থিত থাকার কথা।
মেসির কলকাতা সফরকে ঘিরে উন্মাদনার পারদ বেশ কয়েকদিন ধরেই চড়ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছান তিনি। সেই সময় বাইরের ঠান্ডা তাপমাত্রা উপেক্ষা করেই জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
কথা ছিল, স্টেডিয়ামে যাওয়ার আগে উদ্যোক্তাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ফুটবল তারকা। এছাড়া তার ৭০ ফুট উঁচু স্ট্যাচু উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়ালি।
এরপর মোহনবাগান মেসি অলস্টার ও ডায়মন্ড হারবার মেসি অলস্টারের মধ্যে খেলার আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করবেন, তাদের খেলা দেখবেন, শিশুদের মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন।
মাঠ প্রদক্ষিণ করে দর্শকদের দেখা দেবেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাকে সংবর্ধনা জানাবেন এবং সেই অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানের বেশিরভাগই হয়নি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ যুবভারতীর মাঠে মেসির গাড়ি প্রবেশ করে। তার সঙ্গে ফুটবল খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলও ছিলেন।
তার আগে তিনি কলকাতার রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী ও সেলিব্রিটিদের সঙ্গে দেখা করেন। এরই মাঝে শাহরুখ খানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তার। আব্রামের আব্দার মেনে তার সঙ্গে মেসির ছবিও ক্যামেরাবন্দি হয়।
এরপর মাঠে প্রবেশ করেন লিওনেল মেসি। সেই সময় মাঠের উন্মাদনা ছিল দেখার মতো।
কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। তিনি গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় ছাড়াও নেতা-মন্ত্রী ও তারকাদের ভিড় দেখা যায়। যে কারণে গ্যালারি থেকে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ বা রদ্রিগো ডিপলের মধ্যে কাউকেই দেখা যাচ্ছিলো না।
ক্ষুব্ধ অনুরাগীরা ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ক্রমে পরিবেশ আরো বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে।
লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য কার্যত উন্মত্ত হয়ে ওঠেন দর্শকরা। উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন তারা।
পরিস্থিতি আঁচ করে এসময় মেসিকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম।
গ্যালারি থেকে আরো বেশি সংখ্যক প্লাস্টিকের বোতল উড়ে আসতে থাকে। আসন ভাঙচুর করা হয় এবং তা গ্যালারি থেকে মাঠের দিকে ছোঁড়া হয়।
ফেন্সিং ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয় র্যাফ।
অভিযোগ উঠেছে, বিশৃঙ্খলার কারণে সময়ের আগেই মেসিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় শাহরুখ খান মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি।
অন্যদিকে স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা হয়েও ফিরে যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
দর্শক-অনুরাগীরা কী বলছেন?
এর আগে ২০১১ সালেও কলকাতায় এসেছিলেন মেসি। সেবার বলতে গেলে মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখেছিল কলকাতার ফুটবল প্রেমীরা। কিন্তু এবারের ছবিটা একেবারেই ‘আশা’ করেননি কেউ।
কলকাতায় তার দর্শকদের মধ্যে অনেকেই বেস প্রাইসের চেয়ে বেশ বেশি দামে টিকিট কিনেছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার দর্শক এসেছিলেন। শিক্ষার্থী, শিশুদের পাশাপাশি প্রবীণ দর্শকও ছিলেন। অন্য রাজ্য থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীও ছিলেন।
দিল্লি থেকে আসা একজন জানিয়েছেন, তিনি ১৫ হাজার তাকা দিয়ে টিকিট কেটে কলকাতায় এসেছেন ভোরের ফ্লাইট ধরে। উদ্দেশ্য একটাই ছিল লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখা।
স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে তারই মতো বহু দর্শক ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তাদেরই একজন বলেন, ‘এত চড়া দামে টিকিট বিক্রি করে ব্যবসা হয়েছে। আমাদের ঠকানো হয়েছে।’
‘ভিআইপিরা-ই তাকে ঘিরে ছিলেন, সেলফি তুলছিলেন। আমরা মেসিকে স্ক্রিনে দেখতে আসিনি। গ্যালারি থেকে এক ঝলক পেতে চেয়েছিলাম।’
রিয়া ভট্টাচার্য নামে এক ফুটবলপ্রেমী বলেন, ‘একজন লিজেন্ডারি ফিগার এলেন কিন্তু তাকে ঘিরে রেখেছিল রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষ, যারা সত্যিকারের মেসি আর ফুটবল ফ্যান তারা তাকে এক ঝলকও দেখতে পায়নি।’
‘সবচেয়ে খারাপ লাগছে তাদের জন্য যারা ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় থেকে এত টাকা খরচ করে এসেছিলেন। মানুষ স্টেডিয়ামের চেয়ার ভাঙছে, বোতল ছুঁড়ছে। এই ক্ষোভ স্বাভাবিক।’
কলকাতার বাসিন্দা শ্রেয়সী মজুমদার ছোট ছেলেকে নিয়ে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসির এক ঝলক পাওয়ার আশায়।
ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লি, আসামের মতো জায়গা থেমে মানুষ কলকাতা এসেছেন শুধুমাত্র মেসিকে ভালোবেসে। প্রথমদিকে টিকিটের বেস প্রাইস ছিল তিন হাজার ৮৫০ টাকা, তাছাড়াও অনেক বেশি দামের টিকিট ছিল। পরের দিকে কেউ ১০ হাজার, কেউ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন। এই আবেগের দাম কেউ পেলেন না।’
অনেকে আবার এই ঘটনার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
ফুটবলার দেবজিৎ মজুমদার বলেছেন, ‘মেসির সফরে কলকাতায় নিরাপত্তার এত বড় বিচ্যুতি দেখে হতাশ হলাম। ফুটবলের প্রতি আবেগ অসাধারণ। কিন্তু নিরাপত্তার সাথে কখনোই আপস করা উচিত নয়।’
ফুটবলের প্রতি অনুরাগের জন্য যে কলকাতা পরিচিত, সেই শহরে এমন বিশৃঙ্খলার ছবি প্রকাশ্যে আসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।
ক্রীড়া সাংবাদিক সৌম্য গাঙ্গুলি বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার ছবি স্পষ্ট। উদ্যোক্তারা দায় এড়াতে পারেন না।’
‘দর্শকদের ক্ষোভ সঙ্গত, কিন্তু তাদের সংযত হওয়া উচিত ছিল। কলকাতা ফুটবলপ্রেমী শহর হিসাবে পরিচিত, সেই শহরের এই ছবি বিশ্বের দরবারে যাওয়াটা কাম্য নয়।’
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা
এই ঘটনায় ‘বিচলিত ও স্তম্ভিত’ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গিয়েছে আমি তাতে বিচলিত এবং স্তম্ভিত।’
মুখ্যমন্ত্রীও যে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
‘এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তার ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী,’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের ঘোষণা তিনি জানিয়েছেন, কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়। ঘটনার বিশদ অনুসন্ধান করবে কমিটি এবং দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সুপারিশও করবে।
এরপর শনিবার দুপুরে পুলিশের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
রাজ্য পুলিশে ডিজি রাজীব কুমার বলেন, ‘টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোক্তারা যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
‘এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ ছাড় পাবে না,’ বলেন তিনি।
এডিডি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দর্শকরা যাতে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারেন সেই কারণে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে উদ্যোগী পুলিশ।
মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মেসিকে দেখতে ফুটবলপ্রেমীরা এসেছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ কষ্ট করে টিকিট কেটেও তাকে দেখতে পেলেন না। তৃণমূল নেতারা তাকে হাইজ্যাক করেছিলেন।’
‘তৃণমূলের জমানায় একটার পর একটা কেলেঙ্কারি হয়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে আরো একটা কেলেঙ্কারি হলো।’
তার এই কটাক্ষের জবাব দিতে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষের দাবি, এই অব্যবস্থাপনার জন্য উদ্যোক্তারা দায়ী, বিজেপি শুধু ‘রাজনীতি’ করতে ব্যস্ত। তথ্যসূত্র-বিবিসি বাংলা
এমবি

