ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী কিশোর-কিশোরী শনাক্ত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে নতুন পরীক্ষা শুরু করেছে। সোমবার ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা এ তথ্য জানিয়েছে।

মেটা জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এআইয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ধারণের কাজ করছে। তবে এবার আরও সক্রিয়ভাবে সেই অ্যাকাউন্টগুলোর খোঁজ করবে, যেগুলোতে জন্মতারিখ ভুল দিয়ে বয়স লুকানো হয়েছে।

কোনো ব্যবহারকারী নিজের প্রকৃত বয়স গোপন করেছেন, এমনটা প্রমাণিত হলে সেই অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘টিন অ্যাকাউন্টে’ রূপান্তরিত হবে। এ ধরনের অ্যাকাউন্টে বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সীমাবদ্ধতা থাকবে। যেমন— টিন অ্যাকাউন্টগুলো ডিফল্টভাবে প্রাইভেট থাকবে, ব্যক্তিগত বার্তা (ডাইরেক্ট মেসেজ) কেবল সেইসব লোকজন পাঠাতে পারবে যাদের সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত আছে (ফলোয়ার্স) বা যাদের সে অনুসরণ (ফলো) করে।

মেটা আরও জানিয়েছে, কিশোরদের জন্য ‘সংবেদনশীল কনটেন্ট’, যেমন— মারামারির ভিডিও বা কসমেটিক সার্জারির ভিডিও সীমিত করা হবে। এছাড়া, কেউ যদি একটানা ৬০ মিনিট ইনস্টাগ্রামে থাকে, তাহলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। আর রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘স্লিপ মোড’ চালু থাকবে। এই সময়ে নোটিফিকেশন বন্ধ থাকবে ও সরাসরি মেসেজে স্বয়ংক্রিয় উত্তর যাবে।

মেটা জানিয়েছে, এআই ব্যবহারকারীর কনটেন্টের ধরন, প্রোফাইলের তথ্য ও অ্যাকাউন্টটি কখন তৈরি হয়েছে —এই ধরনের নানা বিষয় থেকে বয়স অনুমান করতে শিখছে।

মেটা এমন এক সময় এই ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে, যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে বয়স যাচাই সংক্রান্ত আইন পাস করার চেষ্টা করছে, যদিও সেগুলো আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

মেটা ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বলছে, অ্যাপ স্টোরগুলোরই বয়স যাচাইয়ের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। কেননা বহু সমালোচক মনে করেন, এসব কোম্পানি শিশুদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না এবং ১৩ বছরের কম বয়সীদের অ্যাপ ব্যবহার রোধেও তেমন কিছু করছে না।

ইনস্টাগ্রাম আরও জানিয়েছে, তারা অভিভাবকদের কাছে নোটিফিকেশন পাঠাবে যাতে তারা সন্তানদের সঙ্গে অনলাইনে প্রকৃত বয়স জানানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

ওএফ