দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি হলো জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির জনপ্রিয় এসইউভি ‘এক্সপ্যান্ডার’। র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাত ধরে চালু হলো এই গাড়ির দেশীয় উৎপাদন।
রোববার (২৯ জুন) প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয় বাংলাদেশে তৈরি এই ফ্যামিলি এসইউভি।
মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার একটি সাত আসনের গাড়ি, যা ১.৫ লিটার মাইভেক ইঞ্জিনচালিত। জাপানি প্রযুক্তি আর দেশীয় কারিগরি দক্ষতার সমন্বয়ে গাড়িটি তৈরি হয়েছে পাবনার পল্লীতে অবস্থিত র্যানকনের ৫২ একর বিস্তৃত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন-বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি। তিনি বলেন, ‘এই উদ্বোধন কেবল একটি গাড়ির নয়, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের কৌশলগত অংশীদারত্ব, প্রযুক্তি বিনিময় ও দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।’
র্যানকন গ্রুপের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, ‘গত ৫০ বছর ধরে আমরা মিতসুবিশির সঙ্গে কাজ করছি। সরকারের সহায়তা ও মিতসুবিশির অংশীদারত্বে বাংলাদেশে বিশ্বমানের গাড়ি তৈরি সম্ভব হচ্ছে। এক্সপ্যান্ডার গাড়ির প্রতিটিতে থাকছে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি এবং দুই বছরের ফ্রি সার্ভিসিং সুবিধা।’
র্যানকন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমানে মিতসুবিশির পাশাপাশি মার্সিডিজ বেঞ্জ বাস চ্যাসি, সুজুকি মোটরসাইকেল, প্রোটন, জ্যাক, এলজি ও তোশিবার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানানো হয়।
জাপান থেকে ভিডিও বার্তায় মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী তাকাও কাতো বলেন, ‘বাংলাদেশে এই উৎপাদন শুরু একটি মাইলফলক। র্যানকনের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারত্ব ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য গাড়ি তৈরির পথ সুগম করবে।’
মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের ডিভিশন জেনারেল ম্যানেজার ইউতাকা ইয়ানো বলেন, ‘র্যানকনের কারখানায় রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থাপনা। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পেইন্ট শপ থেকে চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ অনুসরণ করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- র্যানকনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারহানা করিম, মিতসুবিশি মোটরসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, ব্যাংক ও করপোরেট জগতের বিশিষ্টজনেরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশীয় বিনোদনজগতের তারকাদেরও দেখা যায়। অংশ নেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও মিতসুবিশি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদসহ একাধিক সংগীতশিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সার।
এমআই