Logo

প্রযুক্তি

গুগলের উইলো, ১০ সেপ্টিলিয়ন বছরের কাজ হবে ৫ মিনিটে

Icon

প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০২

গুগলের উইলো, ১০ সেপ্টিলিয়ন বছরের কাজ হবে ৫ মিনিটে

গুগলের নতুন কোয়ান্টাম চিপ উইলো’ এখন প্রযুক্তি দুনিয়ায় সবার আলোচনার বিষয়। অনেকেই জানতে চাইছে এই চিপের প্রযুক্তি কি বাস্তবে আছে নাকি এটা শুধু কল্পনা? আর যদি বাস্তব হয়ও, তাহলে এটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কবে কবে থেকে ব্যাবহার করতে পারব এবং আমাদের জীবনে এটি কি কি  প্রভাব ফেলবে?


উইলো আসলে কী?


উইলো’ হলো এক ধরনের কোয়ান্টাম কম্পিউটার চিপ। সাধারণ কম্পিউটার  0 আর 1 দিয়ে কাজ করে, কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেই সীমা ভেঙে একসাথে অনেক তথ্য একত্রিত করে কাজ করতে পারে। বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটারে যে কাজ করতে ১০ সেপ্টিলিয়ন বছর সময় লাগে উইলো তা মাত্র ৫ মিনিটেই সম্পন্ন করে দেবে। বিজ্ঞানীরা প্রায় ৩০ বছর ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় সমস্যা ঠিক করার উপায় নিয়ে কাজ করছিলেন। গুগল বলছে, উইলো সেই সমস্যাটি অনেকটাই সমাধান করতে পেরেছে।


এটার মানে হলো, বড় আকারের শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানানোর পথে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেছি।


কেন এখনই আমরা এটা ব্যবহার করতে পারব না?


এই ধরনের চিপ কাজ করতে অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা দরকার যা প্রায় -২৭২°সেঃ । এটা পৃথিবীর প্রায় সবচেয়ে ঠান্ডা তাপমাত্রা। এমন পরিবেশ তৈরি করতে বিশেষ যন্ত্র লাগে, যা খুব ব্যয়বহুল। তাই এখনই এটা মোবাইল, ল্যাপটপ বা ঘরের কম্পিউটারে ব্যবহার সম্ভব নয়।


দাম কেমন হবে?


এখনই সঠিক দাম বলা সম্ভব নয়, কিন্তু গুগল ও অন্য কোম্পানিগুলো এই গবেষণায় কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। তাই প্রথমে চিপের দাম অনেক বেশি হবে। পরে প্রযুক্তি উন্নত হলে এবং উৎপাদন বাড়লে দাম কমে আসবে। যেমন প্রথমে স্মার্টফোনের দাম অনেক বেশি ছিল, কিন্তু এখন অনেক সাশ্রয়ী হয়েছে।


কি কাজে লাগবে?


সাধারণ কম্পিউটার যেখানে হাল ছেড়ে দেয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেখানে কাজ করবে। উদাহরণস্বরূপ- নতুন ওষুধ বানাতে রাসায়নিক পরীক্ষাগুলো খুব দ্রুত সিম্যুলেশন করা যাবে। মহাকাশ বা পরমাণু গবেষণা অনেক সহজ হবে। বিদ্যুৎ গ্রিডকে আরও কার্যকরভাবে চালানো যাবে। নতুন ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফি বা ডেটা সুরক্ষা তৈরি করা যাবে। পণ্য পরিবহন বা রুট ঠিক করার সবচেয়ে দ্রুত উপায় বের করা যাবে ইত্যাদি।  


উইলো’ হলো কোয়ান্টাম প্রযুক্তির এক বড় সাফল্য। এখনই এটা আমাদের হাতে না এলেও, বিজ্ঞান, শিল্প আর গবেষণার জগতে এর প্রভাব শিগগিরই দেখা যাবে। ধীরে ধীরে খরচ কমবে, প্রযুক্তি সহজ হবে, আর একদিন হয়তো এটা সাধারণ মানুষের জীবনেও ঢুকে পড়বে যেমন আজকের ইন্টারনেট এক সময় শুধু গবেষণাগারের উপকরণ ছিল।

এম এন 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর