ভিআর গ্লাস : বিনোদন থেকে শিক্ষা সবখানে প্রযুক্তির বিপ্লব

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:০১
-68b6a4561208c.png)
প্রযুক্তি জগতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) গ্লাস। এই বিশেষ হেডসেটের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারেন, যেখানে গেম খেলা, ভিডিও দেখা, শিক্ষা কিংবা বিভিন্ন ট্রেনিং গ্রহণ করাও সম্ভব হচ্ছে।
ভিআর কীভাবে কাজ করে
ভিআর গ্লাসে থাকে বিশেষ ডিসপ্লে ও সেন্সর, যা ব্যবহারকারীর চোখের সামনে থ্রিডি ভিজুয়াল তৈরি করে। ফলে মনে হয় তিনি আসলেই সেই জগতে উপস্থিত আছেন।
ব্যবহারের ক্ষেত্র
বর্তমানে গেমিং ও বিনোদনের পাশাপাশি ভিআর ব্যবহার হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আর্কিটেকচারসহ নানা রকম প্রশিক্ষণে। ডাক্তাররা রোগীর চিকিৎসার জন্য, শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাসে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের সাথে ভার্চুয়ালি মিটিং বা ট্রেনিং দেয়ার কাজে এটি ব্যাবহার করছে।
উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের এমন অভিজ্ঞতা দেয় যে ব্যবহারকারী বিষয়টি খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারে। যেমন গেম খেলার সময় মনে হয় সে গেমের পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে আবার রোগী দেখার সময় মনে হয় যে ডাক্তার রোগীর পাশাপাশি বসে কথা বলছে। অফিস মিটিং বা ট্রেনিং এর সময়ও একই বিষয় ঘটে, ফলে বেশি মনোযোগ দিয় কাজ করা সম্ভব হয়। তবে এটি দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে নানা রকম মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক অবনতির সৃষ্টি হতে পারে। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো এর উচ্চ মূল্য।
কোন কোম্পানি কী তৈরি করছে
আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয় ভিআর গ্লাস মেটা কোয়েস্ট সিরিজ সর্বাধিক জনপ্রিয়, দাম শুরু প্রায় ৩৯৯ ডলার থেকে। সনি প্লে-স্টেশন ভিআর২ দাম ৫৪৯ ডলার। এইচটিসি ভাইভ প্রো২, ভালভ ইনডেক্স ভিআর এর দাম ৯৯৯ ডলারের বেশি। অ্যাপল ভিশন প্রো বিলাসবহুল মডেল, প্রায় ৩ হাজার ৫’শ ডলার। পিকো ৪ (বাইটড্যান্স) ইউরোপ ও এশিয়ায় জনপ্রিয়, এদের দাম প্রায় ৪২৯ ইউরো। প্রজেক্ট মূহান স্যামসাং ও গুগল যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভিআর যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বাজারে আসছে, দাম আনুমানিক ১ হাজার ৮’শ - ২ হাজার ৯’শ ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
বাংলাদেশে কোন কোন ভিআর পাওয়া যায় ও সেগুলোর দাম কত
দেশের বাজারে বর্তমানে মেটা কোয়েস্ট ৩ ও কোয়েস্ট ৩এস পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। সনি প্লে-স্টেশন ভিআর২ ও পিকো ৪ পাওয়া যাচ্ছে ৪২ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায়। সবচেয়ে উচ্চমূল্য অ্যাপল ভিশন প্রো বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের বছরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় ভিআর প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে। বিশেষ করে গেমিং ও শিক্ষা খাতে এর বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পারে।
এমএন/