-68c9018bc30d0.png)
চ্যাটজিপিটিকে সরিয়ে শীর্ষে গুগল জেমিনি কিন্তু কেন এবং কিভাবে?
এক সময় অ্যাপ স্টোরের একচ্ছত্র রাজা ছিল চ্যাটজিপিটি। কিন্তু প্রযুক্তির দুনিয়ায় চমক তো থাকেই। এই সেপ্টেম্বর মাসেই হঠাৎই বদলে গেল দৃশ্যপট। সিংহাসনের নতুন দাবিদার এখন গুগলের এআই অ্যাপ জেমিনি।
জেমিনির এই উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে এক অদ্ভুত নামের ফিচার ন্যানো ব্যানানা। নাম শুনে যতটা মজা লাগে, এর ব্যবহারও ততটাই অবাক হতে হয়। সাধারণ এক সেলফি মুহূর্তেই বদলে যাচ্ছে ৩ডি খেলনা বা কার্টুনের মতো অবয়বে। কারও চোখ বড় বড় হয়ে যাচ্ছে, কারও ত্বক ঝলমল করছে, পোশাক যাচ্ছে পাল্টে, কেউবা পরিণত হচ্ছেন ডেস্কের ওপর রাখা খেলনায়।
টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এসব ছবি। তরুণ প্রজন্ম মজা করে শেয়ার করছেন, আর তাতেই তৈরি হয়েছে এক নতুন ভিজ্যুয়াল ট্রেন্ড। মাত্র দুই সপ্তাহে জেমিনি অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন ২ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি নতুন ব্যবহারকারী। তৈরি হয়েছে ৫০ কোটির বেশি ছবি।
অ্যাপটি ব্যবহার করাও সহজ এবং ইনস্ট্যান্ট। কেবল ছবি আপলোড করুন, আপনার কল্পনা বর্ণনা করুন আর কয়েক সেকেন্ডেই সেই কল্পনা হাজির বাস্তব রূপে। ফ্রি সংস্করণে দিনে সর্বোচ্চ ১০০টি ছবি বানানোর সুযোগ আছে এই অ্যাপে আর প্রিমিয়ামে সেই সংখ্যা বেড়ে যায় ১,০০০ পর্যন্ত।
এই সহজলভ্যতা আর মজার ভিজ্যুয়াল পরিবর্তনের বদৌলতেই অ্যাপ স্টোরে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে চ্যাটজিপিটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, লেখালিখি বা প্রশ্নোত্তরের চেয়ে মানুষ এখন ভিজ্যুয়াল বিনোদনে বেশি মজা পাচ্ছে। তাই জেমিনি হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের কল্পনার সঙ্গী।
তবে আনন্দের ভিড়েও রয়েছে কিছু প্রশ্ন। ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে যখন এমন রূপান্তর ঘটানো হয়, তখন গোপনীয়তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে গুগল বলছে, প্রতিটি ছবিতে থেকে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক, আর তাদের প্রাইভেসি নীতিও যথেষ্ট কঠোর। কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবহারকারীদেরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে এখন রাজত্ব করছে জেমিনি। কিন্তু প্রযুক্তির দুনিয়ায় রাজা চিরস্থায়ী থাকে না। সামনে হয়তো অপেক্ষা করছে আরও নতুন কোনো চমক।
সূত্র: সিনেট
এম এন