স্টারলিংক বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ইন্টারনেট
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩১
-68db40e6e0b88.png)
বাংলাদেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট খাতে নতুন এক বিপ্লবের নাম হয়ে উঠেছে স্টারলিংক। বিশেষ করে গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায়, যেখানে তারযুক্ত ইন্টারনেটের গতি ও মান নিয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেখানে স্যাটেলাইটভিত্তিক এই সেবা মানুষের আশা পূরণ করছে।
গ্রাহক সংখ্যা:
২০২৫ সালের মে মাসে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে চালু হয়। প্রথম ১৫০ দিনে দেড় হাজারের বেশি পরিবার ও প্রতিষ্ঠান এই সেবার সাথে যুক্ত হয়েছেন এবং দিন দিন গ্রাহক বাড়ছে। আইটি পেশাজীবী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেশি। গ্রামীণ এলাকায় যেমন এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, তেমনি শহরেও অনেকে স্থিতিশীল ও দ্রুত ইন্টারনেটের জন্য স্টারলিংক বেছে নিচ্ছেন ভক্তারা।
কিভাবে সংযোগ নেবেন
সংযোগ নিতে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে (www.starlink.com) গিয়ে নিজের তথ্য দিয়ে অর্ডার করতে হয়। এরপর মূল্য পরিশোধ করলে একটি কিট পাঠানো হয়, যেখানে থাকে হোয়াটার কিট, হাই-স্পিড রাউটার ও স্যাটেলাইট ডিস। অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকেও এটি পাওয়া যায় যেমন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল), গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ওয়ান স্টপ, গ্লোবাল ব্র্যান্ড ইত্যাদি। সাধারণত অর্ডারের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে কিট ডেলিভারি পাওয়া যায়। সেটআপ করতে ১০-২০ মিনিটের মত সময় লাগে এবং মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সহজেই কানফিগার করা যায়।
খরচ
সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ হলো রেসিডেনশিয়াল, যার মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী রেসিডেনশিয়াল লাইট, এই প্যাকেজের মাসিক খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা। সংযোগ নেওয়ার জন্য একবারে হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হয়, যার দাম ২৬ হাজার ৫০০ থেকে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়িক বা হাই পারফরম্যান্স কিটের দাম আরও বেশি। মাসিক বিল অনলাইনে বা অনুমোদিত স্টোরে পরিশোধ করা যায়।
প্রতিযোগিতা ও চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, প্রচলিত ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্টারলিংক দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে। অধিকাংশ গ্রাহকই স্পিড, স্থিতিশীলতা এবং সহজ সেটআপের কারণে সন্তুষ্ট। তবে মাসিক খরচ এবং কিটের দাম একটু বেশি মনে করছেন অনেক ব্যবহারকারী। অনেকেই অতিরিক্ত স্পিডের কারণে অন্য সংযোগ বাদ দিয়ে স্টার লিংকে সংযুক্ত হচ্ছেন আবার নতুন রিসেলার যোগ হওয়ায় চাহিদা আরও বাড়ছে।
সম্ভাবনা
যদিও ডেলিভারি বা সেটআপে মাঝে মাঝে ছোটখাটো সমস্যা দেখা যায় তবুও স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেট খাতে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ডিজিটাল যোগাযোগ, অনলাইন শিক্ষা ও রিমোট কাজে স্টারলিংক ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা রাখবে।
এমএন