Logo

প্রযুক্তি

এআই লাইসেন্সিং নিয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে ইউনিভার্সাল ও ওয়ার্নার মিউজিক

মোহাম্মদ নেসার

মোহাম্মদ নেসার

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১৪

এআই লাইসেন্সিং নিয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে ইউনিভার্সাল ও ওয়ার্নার মিউজিক

বিশ্ব সঙ্গীত জগতে শুরু হয়েছে এক নতুন অধ্যায়। বিশ্বের দুই সঙ্গীত জায়ান্ট ইউনিভার্সাল মিউজিক এবং ওয়ার্নার মিউজিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশাল এক লাইসেন্সিং চুক্তির পথে হাঁটছে । অর্থাৎ কোন কোম্পানি চাইলেই শিল্পীর অনুমতি নিয়ে চুক্তির মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠ কপি করে নতুন গান তৈরি করতে পারবেন। খবর প্রকাশের পর থেকেই এই আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র কৌতূহল। কেউ বলছেন এটি ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন সুযোগ, আবার কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন। মানুষের কণ্ঠ কি একদিন এআই এর কাছে হেরে যাবে?

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচনায় উঠে এসেছে গুগল, স্পটিফাই, ইলেভেনল্যাবস, সুানো, উডিও'র মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপের নাম। আলোচনার মূল বিষয় হলো এআই কীভাবে মানুষের তৈরি গানকে ব্যবহার করে নতুন গান বানাবে এবং শিল্পীরা এর জন্য ন্যায্য রায়ালিটি পাবেন কি না। জানা গেছে, মিউজিক কোম্পানিগুলো একটি ক্ষুদ্র পেমেন্ট মডেল প্রস্তাব করেছে, যেখানে প্রতিবার কোনো গান ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সামান্য অর্থ শিল্পী ও প্রযোজকের কাছে পৌঁছাবে।

তবে এই সম্ভাবনার পাশাপাশি ভয়ও বাড়ছে। এমন চলতে থাকলে নতুন শিল্পী তৈরি হবে? যদি এআই মানুষের কণ্ঠ হুবহু নকল করতে থাকে, তাহলে শিল্পীদের জন্য আলাদা হওয়ার জায়গা কোথায়? এর চেয়েও বড় প্রশ্ন একদিন যদি এআই নিজস্ব ইউনিক কণ্ঠে গান গাইতে শুরু করে এবং মানুষ সেই গান পছন্দ করতে থাকে, তবে শিল্পীর ভূমিকা কোথায় থাকবে? মানুষের আবেগ কি একদিন মেশিনের অ্যালগরিদমে চাপা পড়ে যাবে?

অন্যদিকে আশার আলো জ্বেলে রেখেছেন অনেকে। তাদের মতে, এতটা আশংকার কিছু নেই। মানুষের গাওয়া গানের মধ্যে যে আবেগ, সংগ্রাম আর জীবনের গল্প থাকে, সেটি মেশিন কোনোদিনই পুরোপুরি নকল করতে পারবে না। তাছাড়া লাইভ কনসার্টের যে জাদু, হাজার মানুষের একসঙ্গে কণ্ঠ মেলানোর যে অনুভূতি, সেটি কি এআই দিতে পারবে? বরং অনেক শিল্পী হয়তো এআই কে নতুন এক যন্ত্র বা সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করবেন, যার ফলে জন্ম নিতে পারে একেবারে নতুন ধারার সঙ্গীত।

তবু প্রশ্ন রয়ে যায় মেশিন যদি আবেগও কপি করে ফেলে এবং ভার্চুয়াল কনসার্ট করতে সক্ষম হয় তাহলে কি সত্যিই একদিন মানুষ গান গাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে ? অনেকেই সোজা উত্তর দিয়েছেন, না। আবার অনেকে এই সঙ্কাকে উড়িয়ে দিতে পারেননি। তবে এআই সঙ্গীত জগৎকে বদলে দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সামনে হয়তো আমরা দেখতে পাবো, একদিকে মানবশিল্পীর হৃদয়স্পর্শী গান, অন্যদিকে এআই এর তৈরি অদ্ভুত ও নতুন কণ্ঠের জগৎ। দুই ধারার শিল্পীই হয়তো পাশা পাশি বিনোদন দেবে শ্রোতাদের। 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর