-68fde6202833d.png) 
					মার্কিন গাড়ি নির্মাতা টেসলা আবারও আলোচনায় এসেছে তাদের নতুন ড্রাইভিং ফিচার ম্যাড ম্যাক্স মোড নিয়ে। এই নতুন ফিচারটি চালু হওয়ার পরই সংস্থাটি এখন মার্কিন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ, ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তদন্তের মুখে পড়েছে।
টেসলার ফুল সেলফ ড্রাইভিং (সুপারভাইজড) সফটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ ১৪.১.২ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই নতুন ম্যাড ম্যাক্স ড্রাইভিং মোড। কোম্পানির দাবি, এটি আগের হারি মোডের চেয়েও দ্রুত ও আরও বেশি অ্যাসারটিভ অর্থাৎ রোমাঞ্চকর ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা দেবে। গাড়িটি নিজে থেকেই দ্রুত লেন পরিবর্তন করতে পারে এবং মহাসড়কে ঘণ্টায় প্রায় ১৩৭ কিলোমিটার (৮৫ মাইল) পর্যন্ত গতি তুলতে সক্ষম।
প্রাথমিকভাবে এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। কিন্তু রিলিজের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু ভিডিও যেখানে দেখা যায় গাড়িটি গতি সীমা অমান্য করছে, কখনও অতি দ্রুত লেন পরিবর্তন করছে, আবার কখনও ওভারটেক হচ্ছে বেপরোয়াভাবে। এসব ঘটনার পর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ও ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে এনএইচটিএসএ তদন্ত শুরু করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ম্যাড ম্যাক্স নামটি নিজেই যেন ফিচারটির বেপরোয়া স্বভাবের প্রতীক। জনপ্রিয় ম্যাড ম্যাক্স চলচ্চিত্রে যেমন অরাজক পরিস্থিতিতে তীব্র গতিতে গাড়ি চলার দৃশ্য দেখা যায়, এই মোডও সেই ধারণাকেই কিছুটা উসকে দিয়েছে। অনেকের মতে, এটি চালকদের মধ্যে অজান্তেই নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়াতে পারে।
তবে টেসলার সমর্থকদের মতে, বড় শহরের ঘন ট্র্যাফিক এড়াতে এই মোড কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের দাবি, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর ড্রাইভিং সিস্টেম মানুষের মতো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং যান চলাচলে আরও স্বাভাবিকতা আনতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, টেসলার এই ম্যাড ম্যাক্স মোড কি তাদের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণের স্বপ্নকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে, নাকি নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।
সূত্র : electrek.co
ডিআর/এনএম


 
			 
							