Logo

প্রযুক্তি

ধাঁধার গোলক : বুগা স্ফিয়ার, এলিয়ান রহস্যের সর্বশেষ ঘটনা

মোহাম্মদ নেসার

মোহাম্মদ নেসার

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৩

ধাঁধার গোলক : বুগা স্ফিয়ার, এলিয়ান রহস্যের সর্বশেষ ঘটনা

ছবি : বাংলাদেশের খবর গ্রাফিক্স

বিশেষ প্রতিবেদন

২০২৫ সালের ২ মার্চ, কলম্বিয়ার ব্যুগা শহরের দুপুরের আকাশে এমন কিছু একটা ঘটল, যা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মারিয়া নামের এক স্থানীয় মহিলা যখন তার মোবাইল ফোনে আকাশের দিকে ক্যামেরা তাক করলেন, তখন তিনি হয়ত জানতেন না যে তার এই রেকর্ডিং আগামী কয়েক সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলবে। ক্যামেরায় ধরা পড়ল একটি চকচকে ধাতব গোলাকার বস্তু, যা কোনো শব্দ ছাড়াই, কোনো দৃশ্যমান ইঞ্জিন বা সাপোর্ট ছাড়াই আকাশে ভাসছিল। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল, এই গোলকটি ক্রমাগত রং বদলাচ্ছিল কখনো নীল, কখনো সোনালি, আবার কখনো ধবধবে সাদা।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। কয়েক মিনিট ভেসে থাকার পর হঠাৎ করেই গোলকটি নিচের দিকে নামতে শুরু করে। এরপর যা ঘটল তা আরও বিস্ময়কর। বস্তুটি একটি হাই ভোল্টেজ পাওয়ার লাইনে ধাক্কা খায় এবং মুহূর্তেই পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। অবশেষে গোলকটি নিকটবর্তী একটি ছোট জঙ্গলে গিয়ে পড়ে। ডেভিড ভ্যালিস নামের এক সাহসী স্থানীয় ব্যক্তি জঙ্গল থেকে এই রহস্যময় গোলকটি তুলে নেন। যখন তিনি গোলকটি স্পর্শ করলেন, তার হাতে এল অদ্ভুত এক অনুভূতি, বস্তুটি বরফের মতো ঠান্ডা, যেন কয়েক ঘণ্টা ধরে ফ্রিজারে রাখা ছিল। আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, এই গোলকের পৃষ্ঠে কোনো দৃশ্যমান জোড়ার চিহ্ন ছিল না, যা সাধারণত যে-কোনো মানব নির্মিত ধাতব বস্তুতে থাকে।

প্রথম দেখায় এটি একটি সাধারণ বড় ফুটবলের আকারের ধাতব গোলক মনে হলেও, এর পেছনের কাহিনি অনেক বেশি জটিল। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই এই গোলক পৌঁছে গেল জেইম মৌসান নামের একজন ব্যক্তির কাছে, যার নাম ইউএফও এবং এলিয়েন সংক্রান্ত ঘটনায় বহুবার উঠে এসেছে। মৌসান নিজেকে একজন ইউএফোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন, এবং দীর্ঘদিন ধরে এলিয়েন প্রমাণের নামে বিভিন্ন শো ও তদন্ত পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু তার অতীত রেকর্ড কি ভরসাযোগ্য?

২০০৫ সালে, মৌসান একটি ছোট এলিয়েনের দেহের ভিডিও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় এটি এলিয়ান প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন যে এটি আসলে একটি বানরের মৃতদেহ ছিল, যাকে কাটছাঁট করে এলিয়েনের মতো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনি আবার হাজির হন "রসওয়েল স্লাইড" নিয়ে, দাবি করেন এটি ১৯৪৭ সালের বিখ্যাত রসওয়েল ইউএফও ক্র্যাশ থেকে পাওয়া একটি আসল এলিয়েন দেহের ছবি। কিন্তু গবেষকরা দ্রুত প্রমাণ করেন যে এই ছবিটি আসলে একটি পুরানো মিউজিয়াম মমির অস্পষ্ট ফটোগ্রাফ, যাকে সম্পাদনার মাধ্যমে রহস্যময় দেখানো হয়েছিল।

সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ঘটে ২০২৩ সালে। মৌসান মেক্সিকান পার্লামেন্টে লাইভ ব্রডকাস্টের মাধ্যমে দুটি এলিয়েন মমি সবার সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন যে এই দেহাবশেষ পেরুর মরুভূমিতে পাওয়া গিয়েছিল এবং ডিএনএ পরীক্ষা অনুযায়ী এগুলি মানুষের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পুরো বিশ্ব তাকিয়ে ছিল এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিকে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেরুর নৃতত্ত্ববিদ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ করেন যে মমিগুলো সম্পূর্ণ জাল, যা কিছু মানব হাড়, প্রাণীর অঙ্গ আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে বানানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর মৌসানের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। 

কিন্তু এবার তিনি ফিরে এসেছেন ব্যুগা স্ফিয়ার নিয়ে। গোলকটি তার হাতে পৌঁছানোর পর, তিনি বিখ্যাত রেডিওলজিস্ট ডা. জোসে লুইস ভেলাস্কুয়েজের সহায়তায় বিশেষ এক্স-রে সরঞ্জাম দিয়ে গোলকটি স্ক্যান করেন। ফলাফল যা বেরিয়ে এল, তা রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে। এক্স-রে ইমেজে দেখা যায় যে গোলকটি একেবারেই নিখুঁত, গোলাকার কোনো জয়েন্ট বা জোড়ার চিহ্ন চিহ্ন পর্যন্ত নেই। এর ভেতরের গঠন অত্যন্ত জটিল তিনটি আলাদা ধাতব স্তর দিয়ে তৈরি এবং স্তরগুলির মধ্যে ১৮টি অদ্ভুত গোলাকার কণা রয়েছে। এগুলির ঠিক মাঝখানে একটি অ্যাডভান্সড চিপের মতো কিছু লুকানো আছে, যা দেখতে একটি ফিউচারিস্টিক সার্কিট বোর্ডের মতো।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, গোলকের বাহ্যিক পৃষ্ঠে বেশ কয়েকটি রহস্যময় প্রতীক খোদাই করা রয়েছে। যখন বিশেষজ্ঞরা এই প্রতীকগুলি ডিকোড করার চেষ্টা করেন তখন কিছু শব্দ পাওয়া যায়, যেমন 'Unity' (ঐক্য), 'Transformation' (রূপান্তর) এবং 'Consciousness' (চেতনা)। এই শব্দগুলি কি নিছক কাকতালীয় নাকি এর পেছনে কোনো গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে?

গোলকটির আচরণ আরও বিস্ময়কর। যখন এটি ইলেকট্রনিক ওয়েইং স্কেলে রাখা হয়, প্রতিবার এটি ভিন্ন ওজন দেখায়। আর যখন এটি পানিতে ডোবানো হয়েছিল তখন সাথে সাথে পানি বাষ্প হয়ে যায়। এবার এই অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলি কিন্তু প্রশ্ন তুলছে বর্তমান মানব প্রযুক্তি কি এমন কিছু তৈরি করতে সক্ষম যা ইঞ্জিন এবং শব্দ ছাড়া উড়তে পারে, রং এবং ওজন পরিবর্তন করতে পারে?

ঘটনা আরও রহস্যময় হয়ে ওঠে যখন একজন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এই ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। তিনি মাত্র তিন দিন ব্যুগায় ছিলেন এবং গোলকের গভীর পরীক্ষার পর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিয়ে হঠাৎ চলে যান। কোনো রিপোর্ট নেই, কোনো ফলো-আপ নেই এবং কোনো গবেষকের সাথে যোগাযোগ নেই। তার এভাবে নিখোঁজ হওয়া পুরো ঘটনাকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে। মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করেছে, তিনি কি এমন কিছু পেয়েছিলেন যা জনসাধারণের কাছে লুকানো হচ্ছে? 

ব্যুগা স্ফিয়ারের মতই ১৯৭৪ একটি গোলক পাওয়া গিয়েছিল, নাম বেটজ স্ফিয়ারের। ফ্লোরিডায় পাওয়া এই রহস্যময় গোলকটিও চকচকে, পুরোপুরি গোলাকার, ধাতব ছিল এবং এটিও অস্বাভাবিক নড়াচড়া করত। অনেকে মনে করেন এটিও এলিয়েন পাঠানো জন্ত্র। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা এই বেটজ স্ফিয়ার নিয়ে এখনো কোন সমাধানে আসতে পারেনি। আজও  মার্কিন সরকার বেটজ স্ফিয়ার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে। ব্যুগা স্ফিয়ার কি বেটজ স্ফিয়ারের মতো কোন এলিয়েন প্রযুক্তি, নাকি এটি মৌসানের আরেকটি চতুর প্রতারণা?

যখন ব্যুগা স্ফিয়ারের খবর বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হচ্ছিল, তখন আরেকটি নতুন ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে। এতেও ব্যুগা স্ফিয়ারের মতো আরেকটি গোলক কলম্বিয়ার অন্য একটি শহরে উড়তে দেখা যায়। এর গতি, চকচকে ভাব এবং ফ্লাইট প্যাটার্ন ব্যুগা স্ফিয়ারের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। এই দ্বিতীয় গোলকের উপস্থিতি কিছু তাত্ত্বিক কে একটি চমকপ্রদ ধারণার কাছে নিয়ে যায়, সেটি হল ভন নিউম্যান প্রোবস তত্ত্ব'।

বিজ্ঞানী জন ভন নিউম্যান ১৯৪০ এর দশকে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন। এই তত্ত্ব বলে যে, যদি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতা দূরের এলিয়েন সভ্যতা খুঁজতে চায়, তাহলে তারা এমন একটি আদর্শ স্পেসক্রাফ্ট তৈরি করবে যা বিভিন্ন নক্ষত্র সিস্টেমে গিয়ে শুধু এলিয়েনদের উপর গোপনে নজর রাখবে না, বরং তাদের নক্ষত্র সিস্টেমে থাকা চাঁদ, গ্রহাণু বা গ্রহ থেকে এলিমেন্ট নিয়ে নিজের হুবহু কপি তৈরি করবে। তারপর সেই কপি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেবে এবং একই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি করবে। ধীরে ধীরে পুরো গ্যালাক্সিতে এই প্রোব গুলির একটি চেইন তৈরি হবে। এই এলিয়েন প্রোব গুলি সবসময় কোনো না কোনোভাবে গ্যালাক্সির প্রতিটি সভ্যতার উপর নজর রাখবে লোকচক্ষুর আড়ালে। তাই যদি কোনো এলিয়েন প্রোব গ্যালাক্সি অন্বেষণ করে, তাহলে তার গোলাকার হওয়াই স্বাভাবিক।

এই তত্ত্বের সাথে জড়িয়ে আছে আরেকটি রহস্যময় ঘটনা ১৯৭৭ সালের ওয়াও (Wow!) সিগন্যাল। আমেরিকার ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির রেডিও টেলিস্কোপ যখন আকাশ পর্যবেক্ষণ করছিল, হঠাৎ একটি সিগন্যাল পাওয়া যায়, যা দশকের পর দশক ধরে সার্চ ফর এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (SETI) কমিউনিটিকে নাড়া দিয়েছিল। এর কোড ছিল ৬ইকিউ.ইউ.জে৫ (6EQUJ5)। এই সিগন্যাল প্রায় ৭২ সেকেন্ড ধরে ক্রমাগত একটি সরু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে আসতে থাকে। এটি শুনে টেলিস্কোপ অপারেটর জেরি এহম্যান তার প্রিন্ট আউটের পাশে একটা শব্দ লিখেছিলেন ওয়াও (Wow!)। এখান থেকে এটি ওয়াও সিগন্যাল (Wow! Signal) নামে ইতিহাসে নথিভুক্ত হয়।

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হল, এই সিগন্যাল আর কখনো পাওয়া যায়নি। নাসা থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেকে বছরের পর বছর এটি আবার ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু কিছুই পায়নি। এর ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ১৪২০ মেগাহার্টজ, যা হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাকৃতিক নির্গমন ফ্রিকোয়েন্সি। হাইড্রোজেন পুরো মহাবিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ মৌল। তাই ধারণা করা যদি কোনো বুদ্ধিমান প্রজাতি কোন গ্রহে বার্তা পাঠাতে চায়, তাহলে তারা এমন সার্বজনীন চ্যানেলই ব্যবহার করবে। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, ওয়াও সিগন্যাল এমন একটি সিগন্যাল যা কোনো প্রোব দ্বারা পাঠানো হয়েছিল এটি পরীক্ষা করার জন্য যে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী এই সিগন্যাল লক্ষ্য করে কিনা।

কিন্তু সব রহস্য এবং আকর্ষণীয় তত্ত্বের মাঝেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে ব্যুগা স্ফিয়ার কি সত্যিই এলিয়েন প্রযুক্তি, নাকি এটি মৌসানের আরেকটি সুপরিকল্পিত প্রতারণা?

যখন বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাল ভিডিওগুলি ফ্রেম বাই ফ্রেম বিশ্লেষণ করেন, তারা দেখেন যে বাতাসে ভাসমান এই গোলকের গতি অস্বাভাবিক ছিল, তবে এলিয়েন নয়। এই মুভমেন্ট কোনো কাস্টম ড্রোন সেটআপের মতো ছিল। এর গতি এমন প্যাটার্ন অনুসরণ করছিল যেন সেই ধাতব বলটিকে কোনো অতি উচ্চতায় উড়ন্ত ড্রোন থেকে বেশ পাতলা স্বচ্ছ তার দিয়ে বেঁধে ওড়ানো হচ্ছে। আরও সন্দেহজনক বিষয় হলো ভিডিওটি ইচ্ছাকৃতভাবে এতটাই ঝাপসা করা হয়েছে যেন এতে কোনো সূক্ষ্ম তার বা দড়ি দেখা সম্ভব না হয়।

জেইম মৌসানের মতো ব্যক্তিরা জানেন যে একটি ভাইরাল ভিডিও কোটি কোটি মানুষের কাছে মুহূর্তেই পৌঁছে যায়, সে তুলনায় পিয়ার রিভিউড ল্যাব রিপোর্ট সবসময় সে পরিমাণ মানুষের কাছেই পৌঁছায় না। তাই এরা এমন মনস্তত্ত্বকে বারবার ব্যবহার করেন। তারা জানেন যে ঝাপসা ফুটেজ, নাটকীয় গল্প এবং রহস্যময় ভাষা ইন্টারনেটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যখন আসল বৈজ্ঞানিক ডেটা আসে, ততক্ষণে দর্শকরা তাদের নিজের মতামত তৈরি করে ফেলেছে, তা আবার ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।

ব্যুগা স্ফিয়ারের সাথেও মৌসানের একই পুরানো প্যাটার্ন দেখা যায় একটি চকচকে গোলাকার বস্তু, রহস্যময় প্রতীক, এক্সরে স্ক্যান, প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যা আর কতকি। কোনো প্রোপার ডেটা নেই, কোনো স্বাধীন যাচাই নেই। গোলকটি কার কাছে আছে? এর বর্তমান অবস্থা কী? কোনো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান কি এটি পরীক্ষা করছে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তথ্যসূত্র: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত তথ্য সংগৃহীত হয়েছে:  Fox News, The Express UK, Kuwait Times, Wellsville Sun, Reddit, Mexico’s National Autonomous University (UNAM), Discovery Channel, American Paranormal, European, প্রকাশিত দলিল এবং আন্তর্জাতিক UFO গবেষক ও বিজ্ঞানী সংস্থার প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য থেকে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর