যুক্তরাষ্ট্রে কাস্টম জিন থেরাপির দ্রুত অনুমোদন: বিরল রোগে নতুন সম্ভাবনা
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৭
সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন, এফডিএ (FDA) সম্প্রতি যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে কাস্টমাইজড জিন থেরাপি অর্থাৎ রোগীভিত্তিক বিশেষ জিন সংক্রান্ত চিকিৎসা অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও দ্রুত হবে। ফলে হাজারো মানুষের বিরল এবং কঠিন রোগে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ আরও প্রসারিত হবে।
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা আজকাল ক্রিসপার (CRISPR) এবং জিন এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ অনুযায়ী আলাদা থেরাপি তৈরির চেষ্টা করছেন। এই থেরাপি অনেক সময় এক একজন রোগীর জন্য একেবারে ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এক শিশুর জন্মগত জিন সংক্রান্ত রোগের ক্ষেত্রে এভাবেই মাত্র দশ মাস বয়সে স্পেশাল জিন থেরাপি প্রয়োগ করে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা হয়েছে। সেই নজিরই এফডিএ কে চলমান নীতি সংস্কারে উৎসাহিত করেছে।
নতুন নীতিতে এফডিএ অ্যাক্সেলারেটেড অ্যাপ্রুভাল (Accelerated Approval) পথ চালু করেছে। এতে সাধারণ চিকিৎসার তুলনায় কম সময় লাগবে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হলে পরে আরও প্রমাণাদি বা ক্লিনিক্যাল তথ্য নেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনো থেরাপি যদি দ্রুত কার্যকরী ভবিষ্যত দেখাতে পারে, তাহলে এফডিএ প্রাথমিকভাবে সেটি অনুমোদন দিয়ে পরবর্তী সময়ে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
অনুমোদনের এই সুবিধায় বিশেষ করে বায়োটেক (Biotech) ও জিন থেরাপি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর গবেষণা এবং বিনিয়োগ বেড়ে গেছে। শেয়ার বাজারেও এসব বিষয়ে বেশ আলোড়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এফডিএ'র সঙ্গে আরও ১৫টি সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে।
তবে, সুরক্ষা নিয়ে এফডিএ এ বিষয়ে বেশ সতর্ক। তারা বলছে, থেরাপি অনুমোদনের পর রোগীকে লং-টার্ম নজরদারিতে রাখতে হবে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত জিন পরিবর্তন বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়। যদি ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে থেরাপি উদ্দেশ্য বা গুণমানের সাথে মিল না খায়, তখন এফডিএ সহজেই সেই অনুমোদন বাতিল করতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এফডিএ'র এই নীতিগত পরিবর্তন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বজুড়ে বিরল রোগ সংক্রান্ত চিকিৎসা, বায়োটেক এবং মেডিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য অভূতপূর্ব দিগন্ত উন্মোচন করবে। কাস্টম মেডিসিন, জিন থেরাপি, আর ক্রিসপার প্রযুক্তিতে আগ্রহী বাংলাদেশের গবেষকদের জন্যও আগামী দিনে বড় সুযোগ আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : ocacademy.in
ডিআর/এমএন

