• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদার জামিন বাতিলের বিষয়ে আদেশ ১৪ অক্টোবর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

খালেদার জামিন বাতিলের বিষয়ে আদেশ ১৪ অক্টোবর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর বিষয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন ও এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্যের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ওপরও একই দিনে আদেশ দেবেন আদালত।

গতকাল রোববার রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে তার আইনজীবীদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ কারণ দর্শানোর জবাব গতকাল লিখিতভাবে দিয়েছেন। তারা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানি মুলতবি রাখারও আবেদন করেন। অপর দুই আসামির আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এবং আখতারুজ্জামানও আদালতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে যুক্তিসঙ্গত সময় চান। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জামিন বাতিলের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর কারাগারে স্থাপিত এ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন খালেদা জিয়া তার গুরুতর অসুস্থতার কথা তুলে ধরে বার বার আদালতে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথাও বলেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ বিচারক বাসুদেব রায় এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে এখনো যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়নি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads