বাংলাদেশের খবরে সংবাদ প্রকাশ, সেই মাজেদার পাশে বিএনপি নেতা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০০
-(74)-68986dacd5252.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
করতোয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের মাজেদা খাতুন (৫৫)। তার শেষ আশ্রয়স্থলটুকুও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন তিনি।
এই মানবিক বিপর্যয়ের খবর শনিবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশের খবরে “করতোয়ায় তীব্র স্রোতে শেরপুরে ৫০ বসতবাড়ি-জমি নদীগর্ভে বিলীন” এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি বগুড়া-৫ ও বগুড়া-৬ সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের ছেলে বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপি কার্যনির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানীর নজরে আসে।
তাৎক্ষণিকভাবে রোববার বেলা ১১টায় তার প্রতিনিধিকে দিয়ে মাজেদা খাতুনের খোঁজ খবর নেন এবং বর্ষা মৌসুমে আশ্রয়ের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি ঘর নির্মাণের উদ্দেশে টিন দিয়ে সহায়তা করেন। এ সময় আসিফ সিরাজ রব্বানীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- তার প্রতিনিধি দলের সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফরিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ইউপি মেম্বার বাবলু, সাবেক আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী বুলু, সুঘাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম মানু, সুঘাট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম রেজা, ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আবি তাহের, জিএম সম্রাট, ওয়ার্ড সভাপতি নুরুল আমিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ও মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালা, বিনোদপুর ও মাওনা এলাকায় অন্তত পাঁচটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি বাড়ি, এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও একমাত্র কবরস্থান ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
বিশেষ করে উত্তরপাড়া গ্রামের মাজেদা খাতুন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নদীর বাঁকের প্রবল স্রোত এবং বাঙালি নদী খননের প্রভাবে করতোয়া নদীর ভাঙন গত কয়েক বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, ‘শনিবার ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাশিয়াবালা পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।’
আব্দুল ওয়াদুদ/এমআই