লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া ড্রাইভারদের রাজত্ব, ১ মাসে নিহত ১২

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৯

লক্ষ্মীপুরে সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদ। ঘর থেকে বের হওয়ার নিশ্চয়তা আছে, তবে নাই জীবিত ফেরার নিশ্চয়তা। নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় গত এক মাসে নিহত হয়েছেন ১২ জন। আহত ৫০ জনেরও বেশি।
আগস্টের ঠিক ৬ তারিখ, ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে গিয়েছিল নিজ পরিবার ও শ্বশুরের পরিবারের ১১ জন সদস্য। বাড়িতে ফেরার পথেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি চলে যায় চন্দ্রগঞ্জ সংলগ্ন রহমতখালী খালে। ১১ জনের মধ্যে প্রাণ হারান ৭ জন। এক পরিবারে গুনে গুনে খোঁড়া হয়েছে ৭টি কবর।
ঘটনা বিশ্লেষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, এতো বড় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন চালক রাসেল। উঠতি বয়সী তরুণ রাসেল সবেমাত্র ড্রাইভিং পেশায় এসেছেন, পাশাপাশি তিনি একজন টিকটকার, গাড়ি নিয়ে কখন কোথায় যাচ্ছেন সেগুলোরও আপডেট দিতেন প্রতিনিয়ত। অল্পবয়স্ক চালক রাসেল টিকটকের নেশায় গাড়ি চালনায় উদাসীনতাই এমন দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
৬ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর, বরাবর এক মাসের মাথায় আবারও ঘটল দুর্ঘটনা। এবার ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরগামী আনন্দ বাসের চাকা খুলে পড়ে যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পড়ে রহমতখালী খালে। নিহত হন ৫ যাত্রী। আহত হন ত্রিশেরও অধিক।
শুধু এ ঘটনাই নয়, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর সড়কে প্রায়ই বাস নিয়ন্ত্রণ হারায়, পড়ে যায় পুকুর, খাল কিংবা খাদে। ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরগামী অধিকাংশ বাসেরই ফিটনেস ঠিক নেই। অন্যদিকে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরগামী ইকোনো বাস নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। হাইওয়েতে উঠলেই এ বাসগুলোর ড্রাইভাররা মেতে ওঠে গতির অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ বাসগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
তবে সচেতন মহলের দাবি, এখনি এসবের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায় নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর সড়কে ক্রমেই বাড়বে লাশের সারি।
এনআর/এইচকে/