আ.লীগের এমপি হতে চাওয়া শাকিব কি আসলেই ‘অরাজনৈতিক’?
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৫২

চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত
গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকাই ছবির শীর্ষনায়ক শাকিব খান। বিষয়টি উঠে আসে শোবিজ অঙ্গন থেকে রাজনীতির চায়ের কাপে। ভক্ত মহলে ওঠে আলোচনার ঝড়।
কয়েকদিন ধরে চলা তুমুল আলোচনার জবাবে বুধবার (২০ আগস্ট) দৈনিক সমকালের অনলাইন সংস্করণে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খান জানান, তিনি কাউকে মনক্ষুণ্ন করতে সেই পোস্ট দেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তিনি পোস্টটি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, শাকিব খান দাবি করেন, তিনি কোনো দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এমনকি কোনো দলের সঙ্গে কখনো যুক্তও ছিলেন না।
শাকিব খান নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করলেও তার অতীত ইতিহাস তা বলে না। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাকিব খান আওয়ামী লীগের হয়ে এমপি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সে সময় গণমাধ্যমে সেই খবর ঢালাওভাবে প্রচারও হয়েছিল।
আরও পড়ুন
২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশ করে, শাকিব খান আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন ফরম তুলতে যাচ্ছেন। সেই সময় দৈনিক ডেইলি স্টার, জাগো নিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হয়। সে সংবাদ সারাদেশে শাকিব ভক্তদের মাঝে তোলপাড় তৈরি করেছিল।
কিন্তু রাত না পেরুতেই গণমাধ্যমে শাকিব খান ঘোষণা দেন, নির্বাচন তিনি করবেন না। কারণ হিসেবে বলেছিলেন সিনেমাতেই সময় দিতে চান।
তবে শাকিব খানের নির্বাচন থেকে সরে আসার নেপথ্যে ছিল ভিন্ন ঘটনা। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো তখন এই প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিককে জানিয়েছিল, ১০ নভেম্বর রাতে শাকিব খান আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির হাই কমান্ডের বেশকিছু নেতার সঙ্গে কথা বলেন। হাই কমান্ড তাকে মনোনয়ন দিতে অস্বীকার করে। এ কারণে পরদিন শাকিব খান সিনেমার অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সে সময় নির্বাচন করতে না পারলেও আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন ঢাকাই সিনেমার এই শীর্ষ নায়ক। শুধু তাই নয়, নৌকায় ভোট চেয়ে দিয়েছিলেন ভিডিও বার্তাও।
এখন শাকিব খানের রাজনীতি নিরপেক্ষ হওয়ার প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচকেরা বলছেন, শাকিব খানের মতো তারকারা কোটি কোটি ভক্তের আইডল। ফলে নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তারকাদের দ্বৈত ইমেজ ভক্তদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।