Logo

আন্তর্জাতিক

গাজায় জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু, ৭ জনকে হস্তান্তর

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১২

গাজায় জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু, ৭ জনকে হস্তান্তর

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘হামাস’-এর কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে প্রথম দফায় সাতজন মুক্তি পেয়েছেন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের ৪৮ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত রয়েছেন বলে মনে করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, হামাস ইতোমধ্যেই তাদের হস্তান্তর করেছে।

জিম্মিদের মধ্যে একজনের বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করবে। এরপর তারা ইসরায়েলে পৌঁছাবে।

এরা হলেন- অ্যারিয়েল কুনিও ও তার ভাই ডেভিড কুনিও। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তারা অপহৃত হয়েছিলেন। পরিবারের কাছে পাঠানো সবশেষ বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা একটা হরর মুভির মধ্যে আছি।’

এভিয়াটার ডেভিড, তাকে নোভা উৎসব থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।

গালি ও জিভ বারম্যান- ২৮ বছর বয়সী দুই জমজ ভাই। তাদের কিবুৎয কেফার আজা থেকে অপহরণ করেছিলো হামাস।

ওমরি মিরান। অপহৃত হয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে এখন বেঁচে থাকাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বয়সী। তার বয়স ৪৮।

বাকী জিম্মিরা হলেন- মাতান আংরেস্ট (২২), মাতান জানগৌকার (২৫), নিমরদ কোহেন (২১), গাই গিলবোয়া ডালাল (২৪), ইয়োসেফ চাইম ওহানা (২৫), এলকানা বহবত (৩৬), আভিনাতান ওর (৩২), এইতান ওর (২৫), বার কুপারশটেইন (২৩), সেগেভ কালফন (২৭) ও রম ব্রাসলাভস্কি (২১)।

আরও পড়ুন : গাজায় যুদ্ধ শেষ, নোবেলের জন্য করিনি : ট্রাম্প 

এর আগে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় ‘যুদ্ধ শেষ হয়েছে’ এবং যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে। যুদ্ধ সমাধানে আমিই ভালো। শান্তির জন্য আমি ভালো। খবর বিবিসি’র।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে তার খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি (নেতানিয়াহু) চমৎকার কাজ করেছেন। কিছু বিষয়ে তার সাথে আমার মতপার্থক্য ছিল। সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।’

কাতারের প্রশংসা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটির কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। ‘আমি মনে করি যেভাবে কাতার আমাদের সহায়তা করেছে তা অসাধারণ।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে তার আগ্রহের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। ‘গাজায় সংঘাত হলো অষ্টম যুদ্ধ যা আমি সমাধান করেছি। আমি নোবেলের জন্য করিনি। আমি এগুলো করেছি জীবন রক্ষার জন্য।’

এ সময় তিনি জানান যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা তিনি শুনেছেন।

ওদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজা শান্তি বৈঠকের আয়োজন করছেন। মিশরে এ বৈঠকে যারা যোগ দিবেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্র, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎস, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইসরায়েল ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ গাজা শহর ফিলিস্তিন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর