সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২৬
ছবি : সংগৃহীত
উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করলে আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উত্তরা পশ্চিম থানার প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের একটি জিম থেকে বের হওয়ার সময় আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে একই রাতে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। মামলার অপর আসামিরা হলেন মডেল মারিয়া কিশপট্টা ও উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা ও অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়ায়। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে গুজব ও প্রপাগান্ডা চালিয়ে আসছিলেন। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আনিস আলমগীর রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী। অপরদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। তবে আদালত রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দায়ের করা অভিযোগটি পরে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। মামলায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

