
ছবি : সংগৃহীত
ঘি আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং কিছুটা পুষ্টিগুণও থাকে। তবে ঘি মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, তাই প্রতিদিন বেশি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আবার পুষ্টিবিদদের মতে অনেক কারণেই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ঘি উপকারী।
নিয়মিত ঘি খাওয়ার প্রভাবগুলো নিম্নরূপ :
১. ওজন বৃদ্ধি : ঘিতে ক্যালরি অনেক থাকে। নিয়মিত বেশি পরিমাণে ঘি খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে এবং ওজন বেড়ে যায়। ওজন বৃদ্ধি বিভিন্ন জটিলতার—for example, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, জয়েন্ট সমস্যা—কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২. কোলেস্টেরল বৃদ্ধি : ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। দীর্ঘদিন ঘি খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি আর্টারিতে প্ল্যাক জমে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
৩. হৃদরোগ ও কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা : ঘিতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট সরাসরি কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। নিয়মিত বেশি খেলে হার্টের অন্যান্য অসুখ—যেমন অ্যারিথমিয়া, অ্যাঞ্জিনা—ও হতে পারে।
৪. পুষ্টিগুণ : সীমিত পরিমাণে ঘি খেলে কিছু পুষ্টিগুণও পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন A, D, E এবং K থাকে, যা চোখ, হাড় ও রক্তনালীর জন্য সহায়ক।
৫. পরামর্শ : রোজ ঘি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়, তবে দৈনিক পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত—সাধারণত ১–২ চা চামচ প্রতি দিন। তেল, ঘি ও অন্যান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার পরিকল্পনা করা স্বাস্থ্যকর।
/এএ