বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচের পরও ডুবছে চট্টগ্রাম

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:০০

বাংলাদেশের খবর
ঐক্যের টেবিলে বিভেদের কাঁটা
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর একটি স্থিতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশায় যখন পুরো জাতি উন্মুখ, ঠিক তখনই নির্বাচনি পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য এক নতুন সংকটের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে সক্রিয় থাকা ‘জুলাই অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক জাতীয় ঐক্য’ যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে ছিল, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) ইস্যুকে কেন্দ্র করে সেখানে এখন স্পষ্ট বিভক্তি।
দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে একের পর এক সমাবেশ করছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, চূড়ান্ত নির্বাচনের আগেই যদি এমন ভাঙন শুরু হয়, তবে বৃহত্তর সরকারবিরোধী আন্দোলন আদৌ আর কতটা কার্যকর থাকবে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঐকমত্য কমিশনের টেবিলেই নয়, বরং রাজপথেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দলের মধ্যে এই বিভেদ এখন স্পষ্ট, যা আগামী দিনের রাজনীতির জন্য একটি অশনি সংকেত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কালবেলা
‘নতুন পথের’ কঠিন পরীক্ষায় দেশ, নজর এখন হেয়ার রোডে
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে কঠিন একসময় পার করছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আগামী সপ্তাহটি বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ নির্ধারক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তিও আগামী সপ্তাহেই।
আগামী সপ্তাহের ৫ আগস্টের আগেই জুলাই সনদ ঘোষণার চাপ রয়েছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। আবার এ সপ্তাহেই প্রধান উপদেষ্টা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন বলেও আলোচনা রয়েছে। মূলত নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে, সেটি হবে একটি সত্যিকারের বিকল্প পথের সূচনা। তবে দীর্ঘদিনের সংলাপেও অনৈক্য থেকে গেলে রাজনৈতিক বিভাজন, মানবাধিকার সংকট ও আন্তর্জাতিক অসমর্থনের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সপ্তাহই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ পেছনে ফিরবে নাকি সামনের দিকে অগ্রসর হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহ।
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এক সংকটময় পরিস্থিতির দ্বারপ্রান্তে। যতই দিন যাচ্ছে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব, সামাজিক অসন্তোষ এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ‘প্রশাসনিক অচলাবস্থা’ দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩ আগস্ট ঢাকায় বড় সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে এনসিপি। অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ ঘিরে বেশ গুজবও ডালপালা মেলেছে।
অনেকেই বলছেন, সমাবেশের দিন ‘রাষ্ট্রপতির পতন হবে’। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ না হওয়া, সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে মতানৈক্য, ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর টানাপোড়েনসহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক বিষয় সামনে আসছে। তা ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দলগুলো এখনো বিভক্ত। একদিকে বিএনপির সুরে কয়েকটি দল বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
প্রথম আলো
প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচের পরও ডুবছে চট্টগ্রাম
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচের পরও ডুবছে চট্টগ্রাম নগর। গতকাল সোমবার ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। ফলে সেই পুরোনো দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। অথচ এর আগে চলতি বছরের ৩০ মে ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতেও এমন জলাবদ্ধতা হয়নি।
এবারের জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নালা ও খালগুলো ভরাট হলেও ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। আর প্রকল্পের কাজগুলোতেও কিছু ত্রুটি রয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে নগরের খাল ও নালাগুলো পরিষ্কার থাকায় জলাবদ্ধতা হয়নি।
জলাবদ্ধতা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তারা প্রকৃতির ওপর দায় চাপিয়েছেন। তাঁদের দাবি, নালা ও খালগুলো পরিষ্কার আছে। গতবারের তুলনায় এবার বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে আবার সভা করবেন।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সভা করা নতুন কিছু নয়। গত আট বছরে মন্ত্রণালয় ও সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে অন্তত ৩৪টি সভা হয়েছে। এ সময়ে চারটি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। এরপরও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। গত তিন বছরে ৩০ বার ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর—গত বছর (২০২৪) ৬ বার, ২০২৩ সালে ১৪ বার ও ২০২২ সালে ১০ বার।
জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গত শনিবার উপকূল অতিক্রম করেছে। তবে এখনো তার প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার দুপুরে ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবারও (আজ) ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বণিক বার্তা
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলাতন্ত্র, প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচকে পুনর্বাসন ও নেতৃত্ব প্রদান ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত কার্যক্রমের পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকা রাখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনের গণ-আকাঙ্ক্ষা ছিল জনমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসব মন্ত্রণালয়ের অনেক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সেই প্রত্যাশাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে এসব দপ্তর পরিচালনার নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অধিকাংশ কর্মকর্তাই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের সদস্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান প্রশাসনে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যাচ হিসেবে পরিচিত প্রশাসনের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারা। প্রায় এক দশক আগে এ ব্যাচের কর্মকর্তারা অবসরে যাওয়া শুরু করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সখ্যতার কারণে তারা চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের অভ্যন্তরে এ ব্যাচের যথেষ্ট প্রভাব বলয় গড়ে উঠেছে। এ ব্যাচের কর্মকর্তারা সামলাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তর। তবে এসব দপ্তরের নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ড সরকারকে বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলছে। ফলে প্রশাসনে ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রাধান্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
চলতি বছরের ২৬ জুন বিতর্কিত পরিপত্র জারির পর সমালোচনার মুখে নতুন একটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। একই সঙ্গে ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরেকটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। এ রকম বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বর্তমানে সরকারের এ বিভাগের প্রধান প্রশাসন ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. শেখ আব্দুর রশীদ। তিনি সরকারের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পান গত ১৬ অক্টোবর। তিনি সরকারের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মানবজমিন
গ্রাহকের জমানো টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক
মানবজিমনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বর্তমানে তীব্র তারল্য সংকটে দেশের কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়েও সংকট কাটাতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজেদের জমানো টাকা তুলতে গিয়ে পদে পদে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, কর্মকর্তাদের অসহযোগিতামূলক আচরণ এবং নানা অজুহাতে টাকা দিতে বিলম্ব করার মতো ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরজমিন সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংকের শাখা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রাহকদের অতি প্রয়োজনেও টাকা না পাওয়ার বেশ কিছু চিত্র চোখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ই আগস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংকে আমানত তোলার হিড়িক পড়েছিল। তখন নগদ অর্থের সংকটে পড়ে ব্যাংকগুলো। সেই সংকট এখনো চলমান রয়েছে। এ কারণে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন না। এই ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হলেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। মূলত তারল্য সংকট এবং কিছু ব্যাংকের আর্থিক অনিয়মের কারণে গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাচ্ছেন না। বিশেষ করে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে এই সংকট বেশি দেখা যাচ্ছে।বাংলাদেশ ভ্রমণ গাইড
এর আগে গত নভেম্বরে ব্যাংকে টাকার ক্রাইসিস হলে গ্রাহকদের প্রয়োজন ছাড়া টাকা না তোলার আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট মাসের পর তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিপাকে গ্রাহকরা: টাকা না পাওয়ায় সংসারের দৈনন্দিন কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহকদের। চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানের স্কুলের বেতন-ভাতা প্রদান নিয়ে গ্রাহকরা বিপাকে আছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে তদবিরে পাঁচ/দশ হাজার টাকা মিললেও পরের সপ্তাহের আর মিলছে না। বেশ কিছু জায়গায় ব্যাংকের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা। কর্মকর্তারা ব্যাংকে আসতে ভয় পাচ্ছেন। এ ছাড়া একাধিক ব্যাংকে গ্রাহক-কর্মকর্তা বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটেছে। যদিও ব্যাংকে জমা রাখা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে আমানতকারীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কালের কণ্ঠ
নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এই নির্বাচন ঘিরে সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদারে কাজ শুরু করেছে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে দ্বিতীয়বারের মতো সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার সেনা সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্ষমতার ঘাটতি যেন না থাকে, সে বিষয়েও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে গুজব ও ভুয়া তথ্য রোধে একটি ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ গঠনের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এর আগে গত ৯ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হতে পারে জানিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দেন। গত রবিবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা রুখে দিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।