সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৬
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশে ছুটি ১৪ দিন করে
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:০১
২০২৬ সালে সরকারি ছুটি থাকবে মোট ২৮ দিন। এরমধ্যে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন আর নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। ছুটির এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার)।
অন্যদিকে ২০২৬ সালের ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে মুসলিম পর্বে মোট ৫ দিন, হিন্দু পর্বে মোট ৯ দিন, খ্রিষ্টান পর্বে মোট ৮ দিন, বৌদ্ধ পর্বে মোট ৭ দিন এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মোট ২ দিন করে ছুটি নেওয়া যাবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর ২০২৬) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ২০২৬ সালের বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোতে এ ছুটি পালন করা হবে।
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
২০২৬ সালেও রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি রাখা হয়েছে।
ছুটির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
সাধারণ ছুটি
- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
- ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা।
- ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর।
- ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
- ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (শুধু রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার জন্য)।
- ১ মে মে দিবস।
- ১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)।
- ২৮ মে ঈদুল আজহা।
- ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস।
- ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
- ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী।
- ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)।
- ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
- ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটি
- ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত।
- ১৭ মার্চ শবে কদর।
- ১৯, ২০, ২২ ও ২৩ মার্চ (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন) ঈদুল ফিতর।
- ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ।
- ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১ মে (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের তিন দিন) ঈদুল আজহা।
- ২৬ জুন আশুরা।
- ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী)।
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব)
- ১৭ জানুয়ারি শবে মেরাজ।
- ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন)।
- ১ জুন ঈদুল আজহা (ঈদের পরের চতুর্থ দিন)।
- ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা।
- ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম।
ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব)
- ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা।
- ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত।
- ৩ মার্চ দোলযাত্রা।
- ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব।
- ১০ অক্টোবর মহালয়া।
- ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী)।
- ২৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা।
- ৮ নভেম্বর শ্যামা পূজা।
ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিষ্টান পর্ব)
- ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ।
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার।
- ২ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার।
- ৩ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার।
- ৪ এপ্রিল পুণ্য শনিবার।
- ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে।
- ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব)
- ১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা।
- ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য সব জেলার জন্য)।
- ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (পূর্বের ও পরের দিন)।
- ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা।
- ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা)।
- ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য)
- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তাঁর নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।

