বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:১০

বাংলাদেশের খবর
বাজেট : পরিবর্তন আসছে ১১ খাতে
বাংলাদেশের খবেরর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে, বড় রকমের শুল্ক ও কর সংস্কার আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে। ১১ খাতে পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটে এ সংস্কার করতে যাচ্ছে।
আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণা করবেন। তবে এবার সংসদ না থাকায় বাজেট সংসদে উপস্থাপন হচ্ছে না। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে এবং বেসরকারি চ্যানেলগুলোতেও একযোগে বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার হবে।
এর আগে সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার। দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছিল মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের বাজেট বক্তব্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমছে। মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন বাজেটে ৬২২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা হ্রাস এবং ১০০টি পণ্যে কাস্টম ডিউটি কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। উপকৃত পণ্যের তালিকায় রয়েছে কোল্ড স্টোরেজ যন্ত্রপাতি, পেপার পণ্য, বাস, নিউজপ্রিন্ট, ক্যান্সার চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধ ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের কাঁচামাল। এছাড়া তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাবও থাকছে। আমদানি ঘোষণায় ভুল থাকলে বর্তমানে ৪০০ শতাংশ শাস্তির পরিবর্তে তা কমিয়ে ২০০ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও সহনশীল হয়।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে, এনবিআর ১০০টি পণ্যে শূন্য শুল্কের প্রস্তাব আনছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল খাতের কাঁচামাল, শিল্প যন্ত্রপাতি এবং সামরিক সরঞ্জাম।
সমকাল
তিন লাখ ৫৯ হাজার গ্রেপ্তার
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১০ মাসে সারাদেশে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০৯ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৯ জন। পুলিশ সদরদপ্তরের প্রতিদিনের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আগস্টের পরের কয়েক মাস পুলিশ প্রশাসন অনেকটা স্থবির ছিল। প্রায় ৪৫০ থানা ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার ছিল তুলনামূলক কম। এরপর সারাদেশে বিভিন্ন বাহিনীর গ্রেপ্তার বাড়তে থাকে। পুলিশ বাহিনীও আস্তে আস্তে গুছিয়ে উঠতে শুরু করে। গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যানে তার প্রভাব দেখা যায়। প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় পরের পাঁচ মাসে গ্রেপ্তারের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এই প্রতিবেদনে সাধারণ মামলা এবং জুলাই অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট মামলার আসামিদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। এখানে সার্বিক গ্রেপ্তারের হিসাব স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে কত মানুষ জামিন পেয়েছে– একক কোনো সূত্র থেকে সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে কারাগার-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সারাদেশে কারাগারের সংখ্যা ৬৯। এসব কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৮৭। আর বর্তমানে বন্দি আছে ৭৩ হাজার ৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার ৪১৭ এবং নারী ২ হাজার ৫৮৯ জন। এর বাইরে কিশোর সংশোধনাগারে কিছু বন্দি থাকে।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল ফরহাদ সমকালকে বলেন, প্রতিদিন কারাগারে নতুন করে ঢোকা বন্দি এবং জামিনে মুক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা সাধারণত কাছাকাছি থাকে। সর্বশেষ ২৯ মে ২ হাজার ৫৫৩ জন কারাগারগুলো থেকে জামিনে বের হয়েছেন। সেদিন ১ হাজার ৮৩২ জন নতুন বন্দি কারাগারে ঢুকেছেন। তিনি বলেন, কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি থাকলেও তাদের স্থান সংকুলানে সমস্যা হচ্ছে না।
কালের কণ্ঠ
বাজেটে স্বস্তি নেই মধ্যবিত্তের
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, শিশুর আবদার মেটাতে খেলনা কিনে দিতে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। নগর জীবনের অনুষঙ্গ ফ্রিজ, টিভি, এসি, ব্লেন্ডার ও জুসারের মতো পণ্য হবে আরো ব্যয়বহুল। এমনকি ঘরে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার, মশা-মাছি-তেলাপোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতেও ব্যয় বাড়বে।নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাজেটেও তাদের জন্য নেই স্বস্তির খবর।
আগামী ২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন তাতে উল্টো কর কাঠামো ও বাড়তি রাজস্ব আদায়ের পদক্ষেপ মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে আয় না বাড়লেও নানাভাবে ব্যয় কাটছাঁট করে চলা মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কারা মধ্যবিত্ত, কেন তাঁরা অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ : অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যাঁরা নির্ধারিত আয়ের মানুষ, মাসিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন, যাঁদের বেতনের বাইরে বাড়তি আয় নেই, উচ্চবিত্ত বাদ দিয়ে দারিদ্র্যসীমার ওপরে যাঁদের বসবাস, তাঁরাই মধ্যবিত্ত। দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে থেকে বড় ভূমিকা রাখেন তাঁরাই।
দেশের সবচেয়ে সচেতন শ্রেণি হলো মধ্যবিত্ত। এই শ্রেণিটি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ধরনের অবদান রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিবছর বাজেটে প্রাপ্য গুরুত্ব তাঁরা পান না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রধান সমস্যা হলো, তাঁদের আয় বাড়ে সীমিত হারে, অথচ ব্যয় বেড়ে চলে লাগামহীনভাবে।
প্রথম আলো
করমুক্ত আয়সীমায় ছাড় নেই, করপোরেট কর বাড়বে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর বা করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে না, যদিও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। বর্তমানে বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকছে। তবে ধনীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ করহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
নতুন করদাতাদের উৎসাহ দিতে ন্যূনতম কর এক হাজার টাকায় নামানো হতে পারে। জমি কেনাবেচায় কর কিছুটা কমানোর পরিকল্পনা আছে, যাতে কালোটাকা সাদা করার প্রবণতা কমে। ব্যক্তিগতভাবে করমুক্ত দানের তালিকায় ভাই-বোনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। করপোরেট কর বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে, বিশেষ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে।
ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর কর কিছুটা কমানো হতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট টার্নওভার থাকলে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ কর বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হতে পারে। ব্যাংকে আবগারি শুল্কের সীমা ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করা হতে পারে। ভ্যাট বাড়ায় ফ্রিজ, এসি, মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে, তবে কিছু পণ্যে শুল্ক কমায় দাম কমতেও পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাজেট বড় কোনো সংস্কার আনছে না এবং এটি জনকল্যাণে আশানুরূপ নয়।
দেশ রূপান্তর
দেশীয় শিল্পে আসতে পারে ধাক্কা
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্পের জন্য কিছু চাপ তৈরি হতে পারে। কারণ বাংলাদেশ এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছে। এই উত্তরণের কারণে বাংলাদেশ আগের মতো যেকোনো পণ্যে সহজে সম্পূরক বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসাতে পারবে না।
ফলে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে হবে, যার প্রভাবে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে। এ জন্য সরকার নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেমন, ১৭২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানোর এবং শতাধিক পণ্যে তা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এতে রাজস্ব আয় কমে যেতে পারে।
এখন আমদানির ওপর শুল্ক-কর থেকেই মোট রাজস্বের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে। তাই রাজস্ব ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোও হবে। যেমন, তামাকের বীজ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের কাঁচামালে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব এসেছে।
আবার চামড়া ও সিমেন্টশিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালে শুল্ক কমানোর পরিকল্পনাও আছে। সরকার শুল্কনীতিকে আরও আধুনিক করতে একটি নতুন ট্যারিফ পলিসি অনুসরণ করছে, যাতে উত্তরণের প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণ একদিকে চ্যালেঞ্জ হলেও, তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানবজমিন
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত নয় মাসে বাংলাদেশে গণপিটুনিতে ১৬৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এর মধ্যে শুধু গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৬ জন, আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ জন।
বিশেষ করে গত বছরের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় থেকেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো বাড়তে থাকে। সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যখন রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে, তখনই এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়। অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। ঢাকার দারুসসালামে সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় দেখা যায়, আগের দিন পুলিশের অভিযানের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
২০১৯ সালে বাড্ডায় একজন নারীকে শিশু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। অথচ এসব ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়ায় মব সন্ত্রাস বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিচারহীনতা এবং সামাজিক অনিরাপত্তা গণপিটুনিকে উৎসাহ দিচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া এই সহিংসতা বন্ধ হবে না।
যুগান্তর
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর : শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীনে ছাপানো পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনসিটিবির দরপত্রে বইয়ের উজ্জ্বলতার জন্য নির্দিষ্ট মান থাকলেও অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান সেটি অনুসরণ করেনি। এসব বই বাঁধাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের গাম। পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ ও পৃষ্ঠা সংখ্যার ক্ষেত্রেও করা হয়েছে নয়ছয়।
এমন অনিয়ম, অসঙ্গতিতে ভরা অন্তত ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত হিসাবে দেখা যায়, ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে ১৩ কোটি বইয়ের মানই খারাপ। এসব বই ছাপিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা বিলের নামে তুলে নেওয়া হয়েছে। আবার অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে বই সরবরাহ করেনি। এতে শিক্ষার্থীরা বেশ ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, কিছু মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান, এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বই নিয়ে এমন অনিয়ম করা হয়েছে। ৩০টির বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, এবার খারাপ বই ছাপানোর কারণে ১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি। তারা দরপত্রের মান ঠিক রেখে আবার শিক্ষার্থীদের বই রিপ্লেস করবে। যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাদের অর্থদণ্ড করা হবে। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এনসিটিবি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত ছিল। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বিনামূল্যে বই ছাপাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।
যেভাবে প্রকাশ পেল নিম্নমানের বইয়ের তথ্য : এনসিটিবি বিভিন্ন পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৩২টি টিম ৬৪ জেলায় মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়। টিমগুলো প্রতিটি জেলার একটি উপজেলা থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বই সংগ্রহ করে। এরই মধ্যে ৪৭টি জেলার বই সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৩ শতাংশ বই নিম্নমানের হিসাবে দেখতে পেয়েছেন টিমের সদস্যরা। প্রাপ্ত হিসাবে ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে ১৩ কোটি বই নিম্নমানের।
- এটিআর