Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেয়া বিতর্কিতদের প্লট বাতিল করেনি রাজউক

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৪

বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেয়া বিতর্কিতদের প্লট বাতিল করেনি রাজউক

বাংলাদেশের খবর
অনিশ্চয়তা কাটছে ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সুষম খাদ্য হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণে বোর্ড প্রতিষ্ঠার অনিশ্চয়তা কাটছে। ২৩ সালের ২৫ অক্টোবর আইন পাস হলেও ছিল না কোনো অগ্রগতি। অবশেষে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই বোর্ড স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে এই বোর্ড।

সম্প্রতি বেসরকারি ডেইরি সেক্টর সংশ্লিষ্টদের আবেদন ও বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড স্থাপনের তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আকতার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে এই বোর্ড। কিন্তু দেশে আইন অনুমোদনের পরেও স্থাপন না করায় এই সেক্টরকে কাঙ্ক্ষিত অর্জন ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ খামারি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পভুক্ত ছিল ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড স্থাপনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এ বোর্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ খামারিরা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফ্লাইট নিয়ে বিপাকে ওমরাহ যাত্রীরা
বাংলাদেশ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সরাসরি ফ্লাইট নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন সিলেটের ওমরাহ যাত্রীরা। সিলেটের জন্য বিমানের ডেডিকেটেড ফ্লাইটগুলোতে সিট পাচ্ছেন না এ অঞ্চলের যাত্রীরা। সিলেটের জন্য ফ্লাইট নির্ধারিত হলেও ঢাকার যাত্রীদের কাছে সিংহভাগ টিকিট বিক্রি করে ফেলছে বিমান। এ ছাড়া ৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সপ্তাহে সিলেট-জেদ্দা দুটি ফ্লাইটের পরিবর্তে একটি করেছে বিমান। আর আগেই বাতিল করা হয়েছে সিলেট-মদিনা ফ্লাইট। ফ্লাইট সংকটের কারণে সিলেটের ব্যবসায়ীরা বারবার ওমরাহ গ্রুপের তারিখ পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে প্রস্তুতি নেওয়ার পরও নির্ধারিত তারিখে ওমরাহ পালনে যেতে পারছেন না সিলেটের যাত্রীরা। ঘোষণা ছাড়াই বিমানের ফ্লাইট বাতিল ও ডেডিকেটেড ফ্লাইটে সিলেটের যাত্রীদের জন্য অন্তত ৩০০ আসন বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিলেটের হাব নেতারা।

প্রবাসী ও ওমরাহ যাত্রীদের দাবির মুখে সপ্তাহে সিলেট-জেদ্দা দুটি ও সিলেট-মদিনা একটি সরাসরি ফ্লাইট চালু করে বিমান। সিলেটের যাত্রীদের জন্য এ তিনটি ফ্লাইট ডেডিকেটেড ছিল। কিন্তু গত হজ মৌসুমের পর থেকে সিলেটের যাত্রীদের জন্য বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে বিমান। সিলেটের ডেডিকেটেড ফ্লাইটের সিংহভাগ সিট বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে ঢাকার এজেন্সিগুলোর কাছে। ফলে সিলেটের যাত্রীদের সরাসরি ফ্লাইটে ওমরাহ পালনের সুযোগ কমে যায়। এ ছাড়া ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিলেট-মদিনা ফ্লাইট। এ নিয়ে হাব সিলেটের নেতারা বিমানের সিলেট অফিসে স্মারকলিপি দেন। প্রতিকার না পেয়ে গত ১৫ মে ঢাকায় বিমানের বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক আশরাফুল আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিলেটের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা সমাধান না করে উল্টো সপ্তাহে একটি করে সিলেট-জেদ্দা ফ্লাইট বাতিল করা হয়। গতকাল থেকে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিলেট-জেদ্দা ফ্লাইট অনলাইনে দেখাচ্ছে না বিমান।

সিলেটের ট্রাভেলস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিমানের সিলেট-জেদ্দা ফ্লাইট ছিল। কিন্তু এখন অনলাইনে ৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃহস্পতিবার বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট দেখাচ্ছে না। একইভাবে সিলেট-মদিনা ফ্লাইটও ঘোষণা ছাড়া বন্ধ করে দিয়েছে বিমান। এ প্রসঙ্গে হাব সিলেটের সেক্রেটারি আবদুল কাদির জানান, সিলেটের জন্য ফ্লাইট ‘ডেডিকেটেড’ হলেও ঢাকার ব্যবসায়ীরা সিংহভাগ সিট বুকিং করে ফেলেন। এতে সিলেটের ওমরাহ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও বাধ্য হয়ে বারবার ওমরাহ গ্রুপের তারিখ পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

হাব সিলেটের সভাপতি আবদুল হক জানান, বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ডেডিকেটেড ফ্লাইটের ৯০ ভাগ সিট সিলেটের জন্য বরাদ্দের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত সিলেট-জেদ্দা ফ্লাইট অনলাইনে দেখাচ্ছে না। এমনটি হলে সিলেটের ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

বণিক বার্তা
বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেয়া বিতর্কিতদের প্লট বাতিল করেনি রাজউক
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তার সহযোগীদের নাম-পরিচয়। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এ তালিকায় উঠে আসে প্রভাবশালী আমলা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মীর নাম; যারা মূলত ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে তারা পান প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বরাদ্দ। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এসব সম্পদের বরাদ্দ বাতিলের দাবি ওঠে। কিন্তু এক বছর হতে চললেও বাতিল করা হয়নি বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ পাওয়া বিতর্কিতদের প্লট।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আইন সংশোধন হয় ১৯৮৬ সালে। নতুন আইনে বলা হয়, ‘সরকার যাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাকেই প্লট বরাদ্দ দিতে পারবে।’ ওই ধারাটির মাধ্যমে সরকারি আবাসন প্রকল্পগুলো হয়ে ওঠে ক্ষমতাবলয়ের কাছের লোকদের সুবিধা দেয়ার হাতিয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বৈরশাসক তার শাসন টিকিয়ে রাখতে বরাবরই আমলা, রাজনীতিবিদসহ সমাজের প্রতাপশালী ও প্রশাসনিক ক্ষমতাধরদের ওপর বেশি নির্ভর করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, প্রশাসন, রাজনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের নানা ব্যক্তির সমর্থনেরও প্রয়োজন পড়েছে। এ সমর্থনের বিনিময়ে এসব মানুষকে সম্পদ বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করে দেয়া হয় নানাভাবে। পাশাপাশি উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। গত সরকারের আমলেও রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত আবাসিক এলাকা ও সরকারি প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন বিচার বিভাগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, চলচ্চিত্রশিল্পীসহ সরকারঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি।

রাজউকের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প পূর্বাচল। মধ্যবিত্তের জন্য আবাসন চাহিদা মেটাতে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল। যদিও পূর্বাচলের এ জমি সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারাই। প্রথম পর্যায়ের লটারির মাধ্যমে তাদের ১ হাজার ৬৩২টি প্লট বরাদ্দ দেয় রাজউক। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিজীবীদের ৬৫৪, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি কোটায় ৪৭২, বেসরকারি চাকরিজীবীদের ৫৯১, প্রবাসী কোটায় ৫৯১, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৯৬, সচিব কোটায় ২৪, আইনজীবী কোটায় ১১০, বিচারপতি কোটায় ১৪, সংসদ সদস্য কোটায় ৫৭, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোটায় ৫৭, অন্যান্য কোটায় ১৮১, শিল্পী কোটায় ১৫১ ও সাংবাদিক কোটায় ৫৫টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। রাজউক কর্মকর্তা, সংরক্ষিত ও প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও দেয়া হয় প্লট বরাদ্দ। লটারির পরও বিভিন্ন সময় পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী।

যুগান্তর
গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের দাবি
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামীর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী দিনে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশের মালিক নয়, বরং জনগণের সেবক হবে। জুলাই গণহত্যাসহ পুরানা পল্টন, শাপলা চত্বরের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, সেদিন আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দিত তাহলে আজও অনেকের জীবন ঝরে যেত। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, তাদের যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা হয়। শিশু রাজনীতিবিদ বলে যেন অবজ্ঞা করা না হয়। অন্য কোনো দলকে অবজ্ঞা করবেন না। অরাজনৈতিক ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। যারা পারবে না, বুঝবেন তাদের মনে ফ্যাসিবাদ ভর করেছে। জাতীয় ঐক্যের বীজতলা আমরা তৈরি করব।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। তিনি বলেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই। যুবকদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি।’ বক্তব্য শেষে জামায়াত আমির সব নেতার সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়ান। সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশ করে দলটি। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চেই ঢলে পড়েন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ালেও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে মঞ্চে বসেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশ শেষে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে জামায়াত আমিরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

আমার দেশ
জামায়াতের বিশাল শোডাউন
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেন, অনেকের প্রশ্নÑআগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলি, আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনশাল্লাহ। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তরুণ এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সে লড়াইয়েও ইনশাল্লাহ বিজয় লাভ করব।

সব গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া শুরু না করা পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না বলেও ঘোষণা দেন জামায়াত আমির। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে এই জাতীয় সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম এবং সবচেয়ে বড় জমায়েত। এতে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল, এবি পার্টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। সমাবেশমঞ্চও ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আকারের ও অত্যাধুনিক।

এতে রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে জামায়াতের অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মী অংশ নেন। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের মূল বক্তব্যপর্ব শুরু হলেও ফজরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। সকাল ৯টার দিকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীতে ভরে যায়। ১০টা থেকে সেখানে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেতাদের উপস্থিতির কারণে তা ২০ মিনিট আগেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দুপুর ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এই পর্ব চলে। পরে বিরতি দিয়ে দুপুর ২টায় বক্তব্যপর্ব শুরু হয়।

সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে দুই দফা পড়ে যান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য শেষ করেন তিনি। এ সময় জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী যদি জনগণের সমর্থন এবং আল্লাহর মেহেরবানিতে সরকার গঠন করে, মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাল্লাহ।

কালবেলা
সরকারি চাকুরেদের ঘুষ প্রবণতা বাড়ছে
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার হার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। দুদক গত ১১ মাসে যেসব দুর্নীতির মামলা করেছে; সেখানে আসামির তালিকায় সরকারি চাকরিজীবীরাই শীর্ষে। দুদকের পর এবার সরকারি অন্য সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিসিএস) জরিপে উঠে এসেছে প্রায় একই ধরনের তথ্য। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সেবা দেওয়ার বিনিময়ে সরকারি চাকরিজীবীদের একটি অংশ ঘুষ নিচ্ছেন। আর এ ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৩৩ শতাংশ সরাসরি ঘুষ নেন; তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে ঘুষ আদায়কারীর শতকরা হারও প্রায় সমান। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বা পরোক্ষভাবে ঘুষ নেন ঘুষখোরদের ২১ শতাংশ। সরাসরি ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা শহরের তুলনায় গ্রাম বা মফস্বলে কর্মরতদের মধ্যে বেশি। ঘুষখোররা ঘুষ হিসেবে নগদ টাকা নেন প্রায় ৯৮ শতাংশ। টাকা ছাড়াও ভ্রমণের টিকিট, মূল্যবান উপহার সামগ্রী এমনকি খাদ্য পানীয় নেওয়ারও প্রবণতা দেখা যায়।

বিবিএস পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে’ বা নাগরিক অভিমত শীর্ষক জরিপ পরিচালনা করে। সেখানে সরকারি সেবা নিতে গত এক বছরে দেশের নাগরিকরা ঘুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন কি না, জানতে চাওয়া হয়। গত জুন মাসে যার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ জরিপ চালানো হয়। ওই প্রতিবেদনে কীভাবে ঘুষ দাবি করা হয়, সে তথ্যও উঠে এসেছে।

জরিপের জন্য ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৭ নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্যবিষয়ক এসডিজি-১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘের নির্ধারিত। এ জরিপ থেকে এসডিজি-১৬ এর ৬ সূচকের তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিএসের জরিপে সরকারি সেবা নিতে ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে দেশের নাগরিকদের মতামতও উঠে এসেছে।

প্রথম আলো
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু শ্রমজীবীদের
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। কমপক্ষে ২৮৪ জন শ্রমজীবী মানুষ গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, ট্রাকের চালক–সহকারী, দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মচারী ও পোশাক কারখানার কর্মীদের মতো আনুষ্ঠানিক–অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা গণ–অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন। সরকারি গেজেটে শহীদদের তালিকায় যে ৮৪৪ জনের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে ৮১০ জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছে প্রথম আলো। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

শহীদ পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পেশা ও বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শ্রমজীবীদের পরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে শিক্ষার্থীদের—২৬৯ জন। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের উল্লেখযোগ্য অংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ১৩৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। অন্তত ১২০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে গণ–অভ্যুত্থানে। এরপর রয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা—সংখ্যাটি ১০৮।

গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্য দূর করার জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে পরে সারা দেশের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন। শহীদদের সরকারি তালিকায়ও বিষয়টি স্পষ্ট। প্রথম আলোর বিশ্লেষণে দেখা যায়, যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ৩৫ শতাংশ শ্রমজীবী, ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, ১৫ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ১৩ শতাংশ বেসরকারি চাকরিজীবী।

৩৫ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যু বেশি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭৯ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম। সংখ্যার হিসাবে যা ৬৩৮। আবার নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু প্রায় ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে প্রাণঘাতী গুলিতে। এ ছাড়া কুপিয়ে, পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যুর তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ৪ বছর বয়সী শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তিও রয়েছেন। জনসংখ্যা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সাধারণত ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের কর্মক্ষম হিসেবে ধরা হয়।

কালের কণ্ঠ
সংকটে নিশ্চল শিল্প-বাণিজ্য
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ফলে উদ্বেগ আর শঙ্কা থেকে কিছুতেই বের হয়ে আসতে পারছেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়ন, ডলার সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার জন্য অনেকে নতুন বিনিয়োগে পিছপা হচ্ছেন।

ফলে ব্যবসায় আমদানিনির্ভরতা এবং ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সংকটের মধ্যেই আগামী ১ আগস্ট থেকে মার্কিন বাজারে পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) শুল্ক আরোপ নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এতে ইউরোপ ও আমেরিকান বাজারে মন্দা ও চাহিদা কমার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পরিবহনে ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

ফলে সংকটের বৃত্ত ভাঙতে পারছে না দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন শিল্প ও বণিক সমিতির ফেডারেশন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত না হওয়ায় দেশের বিনিয়োগে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এ সময় কলকারখানা বন্ধ হয়েছে; বেকার হয়েছে কয়েক লাখ শ্রমিক।’

সমকাল
যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন ঢাকার ধনকুবেররা
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের মুখে পড়া বাংলাদেশি ধনকুবেররা যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ নিয়ে গার্ডিয়ান  গতকাল শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

গার্ডিয়ান জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকায় তদন্তাধীন কয়েকজন বাংলাদেশি ধনকুবের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা পুনঃঅর্থায়ন করছেন। তাদের লেনদেনগুলোর কারণে যুক্তরাজ্যের আইনি সংস্থা (ল ফার্ম) ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লন্ডনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া এবং লেনদেনগুলো সহজ করতে সাহায্য করেছে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ঢাকায় তদন্তাধীন ব্যক্তিদের মালিকানাধীন সম্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ‘লেনদেনের আবেদন’ জমা পড়েছে। এর মধ্যে  চারটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তিনটি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান  এবং তিনটি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তি। 

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে। স্বৈরাচারী নেতা শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন্দলময় রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই বেদনাদায়ক পটভূমিতে লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি বিশাল বাড়ি সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের আগের সরকারের অধীনে থাকা ক্ষমতাশালী এবং রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত ব্যক্তিরা উচ্চ পদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় চুক্তি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা লুট করেছেন। তারা লাখ লাখ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের প্রপার্টি (সম্পত্তি) খাতে বিনিয়োগ করেছেন। মূলত এগুলো পাচার করা অর্থ। ঢাকার তদন্তকারীরা তাদের বিষয়ে তদন্ত করছেন। 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর