দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী আবহ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে- এমন ঘোষণা ও প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন দ্রুত ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এমনকি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কাজে। চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে; সিইসির ভাষণ রেকর্ডের প্রস্তুতির নির্দেশনা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে বিটিভি ও বেতারে। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আইনি বাধাও দূর হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ১৬১ সুপারিশের মধ্যে ৮২টির বাস্তবায়ন হয়েছে। রাজনৈতিক মাঠেও চলছে জোট পুনর্গঠন ও নতুন জোট ঘোষণার ব্যস্ততা। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টিও কমিশনের ওপর নতুন চাপ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচনকে ঘিরে সব বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে এবং অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে- দেশ এখন নির্বাচনী উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে। গতকাল সোমবার ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল রেকর্ড ধারণ হবে আগামীকাল বুধবার। সেই ভাষণ ধারণ ও স¤প্রচারে প্রস্তুত থাকতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠি দিয়েছে ইসি। এদিনই ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, ৮১টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। একইদিন সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত রোববার নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এদিন সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
এদিনই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করবে ইসি।
এদিকে গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির দুটি অংশের নেতৃত্বে একটি জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ) নামের ওই জোটে জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন অংশ দুটিসহ মোট ১৮টি দল থাকছে।
ঠিক আগের দিন গত শনিবার জুলাই আন্দোলনে ভালো ভূমিকা রাখা জাতীয় নাগরিক পার্টি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ে নতুন জোটের ঘোষণা আসে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ব্যাপক অগ্রগতি: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ১৬১টি সুপারিশের মধ্যে অন্তত ৮২টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে ১৩টি বাস্তবায়ন হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীসহ বিভিন্ন আইন-বিধি সংশোধনের মাধ্যমে আরও অন্তত ৬৯টি সুপারিশ কার্যকর হয়েছে। অবশ্য কিছু সুপারিশের আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে।
গতকাল সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে আরপিও অধ্যাদেশ জারির পর এর আলোকে ইসি এখন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারির উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানেও সংস্কার কমিশনের আরও কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ রয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদের কয়েকটি দফায় কমপক্ষে ২০টি সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যার অনেকগুলো আবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় একত্রে সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কমপক্ষে ৪৯টি সুপারিশ কোনো পর্যায় থেকেই আমলে নেওয়া হয়নি। ১০টির মতো সুপারিশ ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। পরে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। যার মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন অন্যতম। পরে ওই বছরের ৩ অক্টোবর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে সাত সদস্যের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয় এই কমিশনের কার্যক্রম। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ এবং প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৮টি ক্ষেত্রে ১৬১টি সুপারিশ করে কমিশন। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের সারসংক্ষেপ তুলে দেওয়া হয়। পরে ১৮৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ৮ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কমিশনের সুপারিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্তে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও বিদেশি শাখা বিলুপ্তির প্রস্তাব আমলে নেওয়া হয়নি। প্রার্থী হওয়ার ছয় মাস আগ থেকেই ঋণ খেলাপি মুক্ত হতে হবে এমন প্রস্তাবও বাদ দেওয়া হয়েছে। দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্যানেল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও রাখা হয়নি।’
অন্যদিকে, কমিশনের সুপারিশ বেশির ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আবদুল আলীম বলেন, ‘দলের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে অধিকতর গণতান্ত্রিক করা এবং দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু ভালো সুপারিশ করেছিলাম। যেমন- সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যতামূলক করা এবং দলের লেজুড়বৃত্তিক কোনো সংগঠন না থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিলাম। পরপর দুইটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল এবং প্রতি পাঁচ বছর পর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশও আমরা দিয়েছিলাম। এগুলো বাস্তবায়ন হলে তা গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতো।’
বিটিভি ও বেতারকে ডেকেছে ইসি, সিইসির ভাষণ রেকর্ড হবে কাল: চলতি সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) স¤প্রচারিত ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের তফসিল রেকর্ড ধারণ হবে আগামীকাল বুধবার। সেই ভাষণ ধারণ ও স¤প্রচারে প্রস্তুত থাকতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
গতকাল সোমবার ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এজন্য প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, যেন তাৎক্ষণিকভাবে ভাষণ রেকর্ড করে প্রচার করা যায়।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর ভাষণ রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন সিইসিসহ পূর্ণ কমিশন।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলদেশ বেতারকে চিঠি দিয়েছে। রেকর্ডের জন্য ১০ তারিখে ডাকা হয়েছে। তবে কোন সময় রেকর্ড হবে তা কমিশন জানিয়ে দেবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রেওয়াজ অনুযায়ী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংসদ নির্বাচনের তফসিল দেন সিইসি।
নিবন্ধন পেল ৮১ স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান: ৮১টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য জানান। এবার পর্যবেক্ষক হতে আগ্রহী তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৮১টি চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংলাপও করেছে ইসি।
নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট খারিজ: সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি উল্লেখ করে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শুনানি ছাড়াই রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি উল্লেখ করে খারিজ করা হয়েছে। আমিই চেয়েছিলাম।’
কেন চেয়েছিলেন, জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, ‘আদালত বলেছেন, দেশ এখন নির্বাচনমুখী। নির্বাচনের এই সময়ে আপনার রিট আবেদনটি উপযোগী না। তখন মেরিটে (রিট আবেদনের বিষয়বস্তুতে) না গিয়ে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রিট আবেদনটি নট প্রেসড (উত্থাপিত হয়নি) করে নিয়েছি।’
আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম নিবিন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস’-এর মহাসচিব। দলের পক্ষে গত ৩ ডিসেম্বর তিনি এই রিট করেছিলেন।
নালিশ নিয়ে ইসির কাছে জামায়াত, চায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশে আইনশৃঙ্খলার গুরুতর অবনতি দেখছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এমন পরিস্থিতি ইসি সিরিয়াস না হলে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে সে প্রশ্ন তুলেছেন জামায়াত নেতারা। আগামী নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ চান তারা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির নঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এর আগে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছে দলটির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
নির্বাচনের জন্য সব বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো পর্যায়ে রয়েছে এবং সব নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই সব বাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে দুই লাখ ৪৯ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন: সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৭ জন প্রবাসী।
বিকেপি/এমবি

