
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। আসন পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হস্তক্ষেপ চেয়ে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন ফরিদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।
সম্প্রতি ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদকে পাঠানো ওই চিঠিতে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, নতুন সীমানা অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) অন্তর্ভুক্ত আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে (নগরকান্দা ও সালথা) যুক্ত করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয়রা আসন পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন : ভাঙ্গায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, যৌথবাহিনীর টহল জোরদার
ভাঙ্গায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে ইউএনও অফিস লণ্ডভণ্ড
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলা এ আন্দোলন ক্রমশ সহিংস রূপ নেয়। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশ কার্যালয়সহ সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পাশাপাশি সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হয়। ফলে সাধারণ মানুষ তীব্র ভোগান্তিতে পড়ে।
চিঠিতে জেলা প্রশাসক সতর্ক করেছেন, আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা না হলে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে আবারও ফরিদপুর-৪ আসনের আওতায় ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশের পর থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের মানুষ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরের চারটি সরকারি দপ্তরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এসআইবি/এমবি