বড় আ.লীগ সাজার চেষ্টা
হাসিনা বললেন- সোনা আমার, শাওনের দাবি এআই
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩০
ছবি : সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে। অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ওই লকার দুটি জব্দ করা হয়েছিল। মাত্র একটি ব্যাংকের লকারেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের সেই খবর প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
স্বর্ণ জব্দের সেই ঘটনায় এবার ঘি ঢাললেন হাসিনা নিজেই। বৃহস্পতিবার সমাজিক মাধ্যমে এ বিষয় নিয়ে তার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে; যেখানে তাকে (হাসিনা) বলতে শোনা যায়- আমাদের তো ছিল গহনা, আমি তো অস্বীকার করি না, আমরা তো ভেসে আসা পরিবার না।
ওই রেকর্ডে হাসিনাকে আরও বলতে শোনা যায়-অগ্রণী ব্যাংকে তালা ভেঙেছে। কেন তালা ভাঙলো? চাবি তো আমার কাছে; আমি তো এখনো জীবিত আছি। তো আমি যেখানে এখনো জীবিত আছি আর মামলায় কেবল একটা রায় দিয়েছে। এই রায়ের সব ধাপ তো শেষও হয়নি। তার আগেই কেন গহনায় হাত দেবে?
অন্যদিকে, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে হাসিনার ওই গহনার ছবিগুলোকে এআই জেনারেটেড দাবি করে পোস্ট করেছেন।
শাওন বুধবার এক পেস্টে লেখেন-আমাদের ছোটবেলায় এআই ছিল না। কোন ধরনের নাচের গহনা কেমন হয় তা জানার জন্য গুগল ছিল না। রেফারেন্স নেয়ার জন্য পিন্টারেস্ট ছিল না। আমাদের মায়েরা নৃত্য গুরুর কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ধার করে কিংবা ভিসিআর এ হিন্দি সিনেমার অল্পকিছু উচ্চাঙ্গ ধরনের নাচ দেখে গাউসিয়া মার্কেট থেকে ভরত নাট্যমের গহনা কিনতেন।
তিনি আরও লেখেন, লোকনৃত্যের হাসুলি, বিছা, নোলক এগুলোও সেখানে পাওয়া যেত। ভরত নাট্যমের কিছু গহনা যেমন : সিতাপাটি, সিঁথির দুপাশের চন্দ্র-সূর্য, বাজুবন্ধ ঐসব দোকানে পাওয়া যেতো না বলে কেউ কেউ সেগুলো ভারত থেকে আনাতেন। আমার মা আমাকে জরির লেস আর সোনালি পুতি দিয়ে সেগুলো বানিয়ে দিতেন। এখন এআই এর কত ভার্সন আছে। গুগল, পিন্টারেস্ট সহ কত্ত কত্ত এ্যাপ; পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয়। আর এই সময়ে এসে আপনারা এরকম চকবাজার মার্কা জিনিস প্রসব করলেন!! অন্তত ওনার পরা জামদানিগুলোর কথা ভেবে হলেও রুচিটা ঠিক রাখতেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই অডিও বক্তব্যটি আসলেই হাসিনার কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় শেখ হাসিনার দুটি লকার ছিল। সম্পদের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকির অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে এনবিআরের সিআইসি তা জব্দ করে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার আরেকটি লকার জব্দ করে এনবিআরের সিআইসি। সেটি রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকার। পূবালী ব্যাংকের একই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এর মধ্যে একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকার এফডিআর এবং আরেকটি হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
- এমআই

