১০ জন নিহতের খবরে হতবাক ইসরায়েলিরা, চূড়ান্ত লক্ষ্য অজানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১৪:১৬

ইরানের পরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তামরা শহরে একই পরিবারের চার নারী এবং বাইত ইয়াম শহরে ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে ও আট বছরের একটি কন্যাশিশু রয়েছে।
এমন খবরে হতবাক হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি নাগরিকরা। ইরানি হামলায় ইসরায়েলের বহু মানুষ আহত হয়েছে। বেশ কিছু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আগেই সতর্ক করেছিল, দেশটির সামনে ‘কঠিন দিন’ অপেক্ষা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান কয়েক দিনের নয়, বরং কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। তবে এই অভিযানের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী—তা এখনো পরিষ্কার নয়।
গতকাল রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যা দেখা গেছে, তা কিছুই নয়। সামনে ইরান আরও কঠিন জবাব পাবে।’
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই হামলার ন্যায়সঙ্গত কারণ আছে। কারণ ইরান নাকি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ‘খুবই কাছাকাছি’ পৌঁছে গেছে।
তবে অনেকেই এই দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ বলছেন। ইরান বহুবার বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ইসরায়েল বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সমালোচকরা বলছেন, এটি ইসরায়েলের নিজ থেকে বেছে নেওয়া যুদ্ধ। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সংকট নিরসনে এখনো কূটনৈতিক পথই একমাত্র উপায়।
এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে একটি চুক্তি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও এই চুক্তির বিষয়বস্তু কী—তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত বহুপক্ষীয় পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেন, যেটি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
চুক্তিটি নিখুঁত না হলেও বাস্তব পরিস্থিতিতে সেটিই ছিল সম্ভবপর। ইরান তখন তার শর্ত মেনেই চলছিল।
রোববার মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন এক দফা পারমাণবিক আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরঘাচি বলেন, ইসরায়েল যেভাবে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে, তার মধ্যে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই।
ওএফ
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন