Login মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
Logo Logo
লাইভ ই-পেপার আর্কাইভ কনভার্টার
Logo
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলা
  • মতামত
  • রাজধানী
  • জীবনানন্দ
  • ধর্ম
  • ভিডিও

ভিডিও

আর্কাইভ

সব বিভাগ

বাংলা কনভার্টার

সোশ্যাল মিডিয়া

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু এখন নেতানিয়াহু

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৭

অ

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু এখন নেতানিয়াহু

কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ডিপ স্টেস্ট’ শব্দটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর থেকে এই শব্দটি তার ঠোঁটের সাথে লেগে গেছে এবং আর সেখান থেকে সরছে না।

একটি ছোট ছেলে যেমন কোনো ‘খারাপ’ শব্দ শিখে সেটি বারবার বলতে থাকে— নেতানিয়াহুও তেমনই হয়ে গেছেন। যেন কোনো অশুভ আত্মা তার উপর ভর করছে যার ফলে তিনি বারবার ‘ডিপ স্টেস্ট’, ‘ডিপ স্টেস্ট’ বলে চিৎকার করছেন। সেটা কখনো গাজায় থাকা জিম্মিদের স্বজনদের সামনে সংসদে বক্তৃতার সময়, কখনো চরম নাটকীয় ভরা ভিডিও বার্তায়, আবার কখনো বা মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

Walton

গত সপ্তাহে টিভি চ্যানেলগুলোতে আগে থেকে রেকর্ড করা এক ভাষণে হামাসকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি ইতামার বেন-গভিরের সম্মানে এক মন্ত্রিসভা বৈঠক ডাকেন। যেখানে তিনি একইভাবে ‘ডিপ স্টেস্ট’র বিরুদ্ধে হুমকি দেন। এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, তিনি ইনস্টাগ্রামে তরুণদের উদ্দেশে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র আমলারা সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না।

যদিও মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, গত ১৬ বছরে এই সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোর ৯০ শতাংশ আমলার নিয়োগ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফিরে আসি। নেতানিয়াহু উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা শেষ’। তিনি বিচার বিভাগকে ‘একটি বিশেষ শ্রেণি’ বলে অভিহিত করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু উগ্র মন্তব্যকারীদের মতো একে বর্ণবাদী হিসেবে তুলে ধরেন (যেন বিচার বিভাগ তথাকথিত ‘অশিক্ষিত জনতা’ বা ‘বানরদের’ সিদ্ধান্ত নিতে দিচ্ছে না)।

নেতানিয়াহুর একের পর এক বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, তার দৃষ্টিতে— অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় হামাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক

নেতানিয়াহুর একের পর এক বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, তার দৃষ্টিতে— অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় হামাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হামাস হত্যা করতে পারে, অপহরণ করতে পারে, নির্যাতন চালাতে পারে—কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা সরাসরি নেতানিয়াহুর জন্য হুমকিস্বরূপ।

মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যও এই বিষয়ে তার মতোই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারার বিরুদ্ধে তারা একদম হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এবার তার উপর আক্রমণের মূল কারণ ছিল তার দেওয়া আইনি মতামত। যেখানে তিনি বলেছিলেন, বেন-গভির পুনরায় মন্ত্রী হতে পারেন, তবে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী নয়, কারণ তিনি একাধিকবার আইন লঙ্ঘন করেছেন।

যিনি একসময় এই অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সেই গিদিওন সা’আর—বর্তমানে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার এই সদস্য নিজের পুরনো অবস্থান সংশোধন করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। তিনি বাহারাভ-মিয়ারাকে ‘কামিকাজে স্কোয়াড্রন’ বলে অভিহিত করে বলেন। তিনি নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন।

এরপর, নেতানিয়াহুর অনুগত মন্ত্রীরা সর্বসম্মতিক্রমে বেন-গভিরকে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে পুনর্বহাল করেন এবং আইন উপেক্ষা করে শিন বেত গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক ভয়াবহ ঝড়ের পরিস্থিতি
নেতানিয়াহুর ‘ডিপ স্টেস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অনেকটা ইতিহাসের অন্ধকার শাসনগুলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে—বিরোধীদের নির্মূল করা, সহিংস ও মিথ্যাচারে ভরা প্রচারণা চালানো হয়।

হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা যুদ্ধে আটকে থাকায় তাদের পরিবার দারিদ্র্যের সীমার নিচে চলে গেছে। অনেক পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যকে গাজায় ৩০০ বা ৪০০ দিন ধরে আটকে রাখার কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে

- ইসরায়েলি দাতব্য সংস্থা পিতচোন-লেভ

এসব ঘটনাই এমন এক ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে— যেখানে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়েছে, জিম্মিদের পরিবারগুলোর দুর্দশাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, আর ক্ষমতাসীন জোটের রাজনৈতিক দলগুলো সম্পদের লুণ্ঠনে মেতে উঠেছে।  

অন্যদিকে, হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা যুদ্ধে আটকে থাকায় তাদের পরিবার দারিদ্র্যের সীমার নিচে চলে গেছে। এই বিষয়টি দাতব্য সংস্থা ‘পিতচোন-লেভ’ এর এক সম্প্রচারেও উঠে এসেছে। অনেক পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যকে গাজায় ৩০০ বা ৪০০ দিন ধরে আটকে রাখার কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে।

গেল বুধবার তেলআবিবের হাবিমা স্কয়ারে এক বিশাল সমাবেশের পর, হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমে গিয়ে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ বলে স্লোগান দেন। পরে, তারা জিম্মিদের নাম পড়ে শোনান ও এখনই সবার মুক্তি দাবি করেন।

কিন্তু আর কতদিন এই আন্দোলন চালানো সম্ভব? জনগণ কতগুলো বিষয় নিয়ে একসাথে লড়াই করতে পারে? এই হতাশাই এখন নেতানিয়াহুর পুঁজি। তিনি তার সবচেয়ে বিপজ্জনক রূপে পরিণত হয়েছেন।

২০২৩ সালে বিচার বিভাগীয় অভ্যুত্থানের সময়, তিনি কিছুটা হলেও জনমতের চাপে সংযত ছিলেন। কিন্তু এখন জরুরি সরকার ভেঙে যাওয়ার পর এবং পুরনো চরমপন্থী জোট ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, তিনি একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন যা দেশের বেশিরভাগ জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও কার্যকর হচ্ছে—এমনকি তার নিজের ভোটাররাও অনেক বিষয়ে তার সঙ্গে নেই।

এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— পুনরায় যুদ্ধ শুরু, বন্দী বিনিময়ের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি লঙ্ঘন, ক্ষমতাসীন জোটের জন্য আরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা, হারোদিদের সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া, ৭ অক্টোবর হামলার তদন্ত কমিশন গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও বিচার বিভাগের উপর পুনরায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা শুরু করা।

সংবিধান সংকট ও ভয়ঙ্কর পরিণতি
নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপগুলো ইসরায়েলকে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিচার ব্যবস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেভাবে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের শিকার হচ্ছে, তাতে দেশটির গণতন্ত্র চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

বিরোধীদলগুলোর দুর্বলতা ও জনগণের ক্লান্তিই তাকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। তার মানসিক অবস্থা এখন এমন, তিনি যেকোনো কিছু করতে পারেন—এমনকি স্বীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ইসরায়েলকেই বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারেন।

এই অবস্থায় ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী, তা নির্ভর করছে জনগণের ধৈর্য, সাহস ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের উপর।

নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপগুলো ইসরায়েলকে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিচার ব্যবস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেভাবে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের শিকার হচ্ছে, তাতে দেশটির গণতন্ত্র চরম হুমকির মুখে পড়েছে


নেতানিয়াহুর এই উন্মাদনার মূল কারণ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি। তিনি এটিকে তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দেখছেন। তার বিশ্বাস, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ‘শিন বেত’ যেকোনো মুহূর্তে তাকে ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পারে। তার চোখে, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান।

তিনি যে শিন বেতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেন ও নিজের উপদেষ্টাদের রক্ষা করেন, সেটি কোনো আনুগত্যের কারণে নয়। পরিস্থিতি যদি তাকে বাধ্য করে, তবে তিনি তাদের সহজেই বলির পাঁঠা বানাবেন। তার আসল লক্ষ্য একটাই—নিজেকে রক্ষা করা। আর এই পুরো ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে রয়েছে ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারি, যেখানে তার নাকের নিচে দিয়ে কাতার নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে।

দ্বিমুখী বিপদ
এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল যে নেতানিয়াহু শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার বিষয়ে পিছু হটবেন। কারণ, তার নিজের সরকারের সিদ্ধান্ত তাকে কিছুটা বাঁধা দিচ্ছে—গ্রুনিস কমিটির সুপারিশ ছাড়া বারকে সরানো সম্ভব নয়।

কিন্তু তাতে নেতানিয়াহু থামেননি। তিনি ক্রমেই বারকে ছোট ছোট অপমান করেছেন—যেমন যুদ্ধ পুনরায় শুরু হলে প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধানদের যে ছবি প্রকাশ করা হয়, তাতে বারকে বাদ দেওয়া হয়। তবে বার নেতানিয়াহুর মতো শুধুমাত্র ক্যামেরার জন্য ওই কক্ষে যান না, তিনি আসল কাজের জন্য সেখানে থাকেন।

এই সপ্তাহে, যখন ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছিল, তখন নেতানিয়াহুর সন্দেহ ও আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। ফলে বৃহস্পতিবার তিনি হোস্টেজদের মুক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাকে উপেক্ষা করে শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্তের জন্য বৈঠক ডাকেন।

নেতানিয়াহু ও বারের মধ্যে বিরোধ বন্দিদের মুক্তির আলোচনার সময় তীব্র আকার নেয়। গোপন গোয়েন্দা তথ্য চুরির বিষয়টি যখন জার্মান সংবাদপত্র ‘বিল্ড’-এ ফাঁস হয়, তখন শিন বেত তদন্ত শুরু করে। এর ফলে এই দ্বন্দ্ব এক চরমমাত্রায় পৌঁছে যায়।

শিন বেতের এই তদন্তই নেতানিয়াহুর সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ। শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিই এমন মাত্রার উন্মাদনা ও আতঙ্কে ভুগতে পারেন, যার গোপন কুঠুরিতে অগণিত কঙ্কাল লুকিয়ে আছে।

নেতানিয়াহুর বিচার এড়ানোর মরিয়া প্রচেষ্টা
শিন বেতের কারণে নেতানিয়াহু দ্বিগুণ সমস্যায় পড়েছেন। প্রথমত, কাতার-সংক্রান্ত একটি বিশাল নিরাপত্তা তদন্ত তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে।

দ্বিতীয়ত, ৭ অক্টোবর হামলার তদন্তে শিন বেত নেতানিয়াহুর আরেকটি ভয়ঙ্কর ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে এসেছে—তার ইতিহাস বিকৃত করার অক্ষমতা। শিন বেত দেখিয়ে দিয়েছে, ২০২১ সালে গাজার সাথে সংঘর্ষের পর কাতারের অর্থায়নে হামাস সামরিক শক্তি গড়ে তুলেছে। অপরদিকে ‘বিজয়ের মিথ্যে বার্তা’ ছড়িয়ে নেতানিয়াহু আত্মতুষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। আবার হামাস নেতাদের হত্যার সুপারিশ করা হলেও তিনি তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

গত দশকে একের পর এক সিদ্ধান্তে নেতানিয়াহু যে অবহেলা করেছেন, তার চূড়ান্ত ফল ছিল ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলা। কিন্তু এসব ইতিহাস ধামাচাপা দিতে সব সফল স্বৈরশাসকের মতো নেতানিয়াহু এখন দমন ও প্রভাবের একটি যৌথ কৌশল প্রয়োগ করছেন।

কাতারগেট কেলেঙ্কারির মূলে তিনি নিজেই আছেন। এই কেলেঙ্কারির মূল চরিত্র ‘ইয়োনাতান উরিখ’। যিনি নেতানিয়াহুর দীর্ঘদিনের প্রিয় উপদেষ্টা। এই ইয়োনাতান বহু মিথ্যা প্রচারণার সাথে জড়িত ছিলেন।

এমনকি বাজেট নিয়ে সংকট দেখা দেওয়ার সময় ইতামার বেন-গভিরকে দ্রুত পুনর্বহাল করাও সম্ভবত এই পুরো পরিকল্পনার অংশ। বেন-গভির আবারও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসছেন, যেখানে তার চরমপন্থী নীতিগুলো কেবল তাকে নয়, নেতানিয়াহুকেও সুবিধা দেবে।

নেতানিয়াহুর প্রত্যাশা, বেন-গভির পুলিশ বাহিনীতে তার কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন এবং তদন্তগুলোকে থামিয়ে দেবেন। পুলিশ প্রধান ড্যানি লেভি এরই মধ্যে নেতানিয়াহুর জন্য কিছু তদন্ত বন্ধ রেখেছেন। অন্যদিকে, সাবেক শিন বেত প্রধান নাদাভ আর্গামানকে হাস্যকর অভিযোগে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আসন্ন সাংবিধানিক সংঘাত
সরকার ও নেতানিয়াহু এমন একটি সাংবিধানিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যা শিগগিরই ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছাবে।

সুপ্রিম কোর্টই একসময় সিদ্ধান্ত দিয়েছিল যে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। কিন্তু এখন এই আদালতের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আঘাত আসতে চলেছে।

নেতানিয়াহুর সরকার প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নোম সোলবার্গকে ৭ অক্টোবর হামলার তদন্ত কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটি দেখিয়ে দেয় যে, কোনো বিচারপতিই আর তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

এটি ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান একজন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি—নোম সোলবার্গ। নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় তাকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করাও হয়তো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করা হয়। পরে দ্রুত তা মুছে ফেলা হয়। এরপর সেটি তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পুনরায় পোস্ট করা হয়।

প্রেসিডেন্ট হার্জগ তখনই প্রতিক্রিয়া জানান এবং ইসরায়েলের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। হার্জগের জন্য এটি একটি বিপ্লবী সিদ্ধান্ত ছিল।

প্রেসিডেন্ট এখনো মনে করেন যে এটি কেবল দুই পক্ষের মধ্যে বিভাজন । কিন্তু যখন বলা হয়, একটি পক্ষ ইসরায়েলকে গণতান্ত্রিক রাখতে চায়, আরেকটি পক্ষ একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিতে চায়- তখনও তিনি নিশ্চিত নন।

তিনি এখনও ভাবছেন যে উচ্চ আদালত নেতানিয়াহুর অন্যায়গুলো আটকে দেবে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না যে, নেতানিয়াহু যেকোনো শূন্যস্থান বিষ দিয়ে ভরিয়ে দেবেন।

এই পরিস্থিতিতে হার্জগ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন, যেমন—প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিষাক্ত প্রচারণার বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলা, শিন বেত অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সমর্থন জানানো, বা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যোগ দেওয়া।

ইসরায়েলে দৈনিক হারেৎজ থেকে ইয়োসি ভার্টারের লেখা

ওএফ

সম্পর্কিত

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ : শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ : শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস

ভারতের হামলায় নিহত ৮, জবাবে ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভারতের হামলায় নিহত ৮, জবাবে ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভারতের ৩ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভারতের ৩ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ভিডিও

পঠিত

১

কুড়িগ্রামে ৫ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশি গরুতে ভরপুর খামার

৩

বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ শহীদুল্লাহ

মন্তব্য করুন

Ad
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
ভারতে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বাধা, ব্যবসানীতি নাকি ঈর্ষা?

ভারতে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি ..

ফরিদপুরে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অসহায় এক গৃহকর্মীকে উদ্ধার করল পুলিশ

ফরিদপুরে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অ..

পরিত্যক্ত ব্যাগে মিলল কোটি টাকার হেরোইন

পরিত্যক্ত ব্যাগে মিলল কোটি ট..

আলোচিত একরাম হত্যার ১১ বছর, ডেথ রেফারেন্সে আটকে আছে রায়

আলোচিত একরাম হত্যার ১১ বছর, ..

হতদরিদ্রের জমি দখল, ২ ভাইয়ের জেল

হতদরিদ্রের জমি দখল, ২ ভাইয়ের..

শেষ হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা

শেষ হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের প্র..

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে পুত্রবধূ আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্বশুর-শাশুড়..

ছেলের পর জো বাইডেনও ক্যান্সারে আক্রান্ত

ছেলের পর জো বাইডেনও ক্যান্সা..

বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর অনুমোদন পেল পাকিস্তানের এয়ারসিয়াল

বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর অনুমো..

ঈদে সাশ্রয়, সুবিধা আর পুরস্কারের চমক, দারাজের ৬.৬ বিগ ঈদ সেল শুরু

ঈদে সাশ্রয়, সুবিধা আর পুরস্..

সব খবর

১

কুড়িগ্রামে ৫ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশি গরুতে ভরপুর খামার

৩

বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ শহীদুল্লাহ

৪

ইশরাকের শপথ গ্রহণে ১০ বাধা : আসিফ মাহমুদ

৫

ট্রেনিংয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় একই অফিসের নিহত ৪

৬

কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তরুণ নিহত

৭

সেন্টমার্টিনবাসীর কান্না কি সরকারের কাছে পৌঁছায় না!

৮

কুলাউড়ায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

৯

চরফ্যাসন হাসপাতালে দালালদের দাপট, রোগীরা অসহায়

১০

‘নুসরাত ফারিয়া পলকের শয্যাসঙ্গী ছিলেন’

সব খবর

বিশেষ সংবাদ

বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ শহীদুল্লাহ

ঢাবির লিফট যেন ‘মরণফাঁদ’, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

৯ মাসেই শতকোটি টাকা চাঁদাবাজি মঈন খানের ‘পিএস’র পেটে পলাশের মিল-কারখানা

সৌদি যুবরাজকে নিয়ে মশকরা ব্যাপক ধরপাকড়ের দাবি প্রবাসী বাংলাদেশিদের, যা জানাল দূতাবাস

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু এখন নেতানিয়াহু

Logo Logo

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন

প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর

আমাদের কথা আমরা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা সোশ্যাল মিডিয়া পুরোনো সাইট

২০২৫ বাংলাদেশের খবর কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: প্লট নং-৩১৪/এ, রোড-১৮, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা-১২২৯। পিএবিএক্স : ৫৫০৩৬৪৫৬-৭, ৫৫০৩৬৪৫৮ ফ্যাক্স : ৮৪৩১০৯৩ সার্কুলেশন: ০১৮৪৭-৪২১১৫২ বিজ্ঞাপন : ০১৮৪৭-০৯১১৩১, ০১৭৩০-৭৯৩৪৭৮, ০১৮৪৭-৪২১১৫৩, ০১৩২২-৯১০৪২২ Email: newsbnel@gmail.com, বিজ্ঞাপন: bkhaboradvt2021@gmail.com