
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৮:০৫

ইরানের অনুরোধে একটি বিশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) /ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল-ইরান সরাসরি সংঘাতের মধ্যেই ইরানের অনুরোধে একটি বিশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে সংস্থার সব সদস্য দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবে।
এই বিশেষ অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওআইসির ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের কাউন্সিল অধিবেশনের অংশ হিসেবে, যার আয়োজক দেশ এবার তুরস্ক।
এবারের ওআইসি সম্মেলনকে বলা হচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্মেলন। প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ তুরস্ক।
এর মধ্যে রয়েছেন ৪৩টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ৫ জন উপমন্ত্রী। ওআইসি-সম্পৃক্ত সংস্থাগুলোর পাশাপাশি উপস্থিত থাকছে জাতিসংঘ, আরব লীগ, জিসিসি, ডি-৮, ব্ল্যাক সি ইকোনমিক কো-অপারেশন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (ইসিও), তুর্কি রাষ্ট্র সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ (ডব্লিউটিও) ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পরই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। সংঘাতে দুই পক্ষেই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরান ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্রকে নিয়ে একটি জরুরি পরামর্শমূলক বৈঠকের অনুরোধ জানায়। যাতে সংহতি জোরদার করে ইসরায়েলের আক্রমণ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
ইস্তাম্বুলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন মধ্যপ্রাচ্য সংকটে তুরস্কের কৌশলগত ভূমিকা ও ওআইসিতে তার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরমান বিশ্বে ওআইসির ভূমিকা’ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বর্তমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ ও গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একক ও যৌথ নিন্দা প্রস্তাব, বহুপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবনা এবং ফিলিস্তিন ও ইরানের প্রতি সংহতি জানানো হতে পারে।
তবে বাস্তব পদক্ষেপের চেয়ে রাজনৈতিক বিবৃতি ও প্রতীকী ঐক্যের উপরেই এই সম্মেলনের গুরুত্ব বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও ওআইসির ইতিহাসে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যদি মুসলিম বিশ্ব ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে পারে।
ওএফ
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন