
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

বাংলাদেশের খবর
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট জামায়াতের, সম্পর্কে টানাপোড়েন
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের যৌথ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে, রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
এককভাবে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার প্রতিবাদে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল জামায়াতের সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে, ঈদের ছুটির পর ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হলেও, সেখানে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের আসনের পাশে, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্য, নির্ধারিত আসনটি পুরোটা সময় খালি পড়ে ছিল, যা দলটির অনুপস্থিতিকে প্রকট করে তোলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াতের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের মূলে রয়েছে গত ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠিত ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক। বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতি সাপেক্ষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে। জামায়াতের অভিযোগ, দেশের বহু রাজনৈতিক দল সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও, শুধু একটি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
দলটির নেতারা মনে করছেন, এই যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার ও বিএনপিকে 'সমশক্তি' হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং জামায়াতসহ অন্য দলগুলোকে 'গৌণ' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমকাল
বিএনপির কিছু ছাড়, জামায়াতের বয়কট, এনসিপির অভিযোগ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সংস্কারের জন্য ঐকমত্য গঠনের সংলাপে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাই বেশি হচ্ছে। ৭০ অনুচ্ছেদ, চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ কিছু কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলকে দেওয়া এবং প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ইস্যুতে বিএনপি কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে নারী আসনে নির্বাচন এবং সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে তারা আগের অবস্থানেই রয়েছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলো নারী আসন বাড়ানোর বিপক্ষেই।
অন্যান্য দলের মতামত না নিয়ে লন্ডনে সরকার ও বিএনপির বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণের প্রতিবাদে সংলাপ বয়কট করেছে জামায়াতে ইসলামী। লন্ডন বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংলাপে যোগ দিলেও নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা অভিযোগ করছে, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন বিএনপির দিকে হেলে পড়েছে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর ২৯ দল ও জোটের সংলাপ শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, বুধবার (আজ) দলটি আলোচনায় ফিরবে। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ হচ্ছে।
ঘোষণা ছাড়াই অনুপস্থিত জামায়াত
গতকাল বেলা ১১টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এ সংলাপে পূর্বঘোষণা ছাড়াই অনুপস্থিত থাকে জামায়াত। পরে জানা যায়, দলটি ‘লন্ডন বৈঠক’-এর প্রতিবাদে বয়কট করেছে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর সংলাপে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশন অনুরোধ জানালেও জামায়াত তাতে সাড়া দেয়নি। এতদিন সংলাপে দলের প্রতিনিধিত্ব করা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ সমকালকে বলেন, ‘একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করায় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এর প্রতিবাদে জামায়াত সংলাপে যায়নি। সরকার অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে জামায়াত আশা করে।’
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এ সংলাপ। এর পর বিরতি দিয়ে রোববার থেকে আবার শুরু হবে। জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে মঙ্গলবারের সংলাপ বয়কট করা হয়েছে। দলটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেন, ‘শুধু বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে সরকার কীভাবে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে; কেন একটি দলের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে– ঐকমত্য কমিশন এর জবাব দিলে জামায়াত সংলাপে ফিরবে।’ ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে– সরকারের এ অবস্থানকে জামায়াত সমর্থন করলেও বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে চাপে রেখেছিল। এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণাও দলটি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
যুগান্তর
স্বস্তির বাতাসে অস্বস্তি ছড়াচ্ছে কিছু চ্যালেঞ্জ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে উত্তেজনা প্রশমিত করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কাটেনি।
সংস্কার ও বিচার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হলেও এ সরকারের সময়ে বিগত ১০ মাসে যেভাবে কাজ হওয়া দরকার ছিল, সেভাবে গতি পায়নি। বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বোঝাপড়া হলেও জামায়াত ও এনসিপি কিছুটা দূরত্বে আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়া ভোটের রাজনীতি নিয়ে তাদের নিজস্ব এজেন্ডাও রয়েছে।
এদিকে লন্ডন বৈঠকে বেশ স্বস্তির আভাস মিললেও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের আন্দোলন অস্বস্তি ছড়াচ্ছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের শায়েস্তা করতে বিতর্কিত অধ্যাদেশ নিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। সচিবালয়ে কর্মচারী আন্দোলনের এমন দৃশ্য অতীতে কেউ দেখেনি। এনবিআর অধ্যাদেশ বিতর্কও রয়ে গেছে সেই তিমিরে। আন্দোলন থামলেও বাড়ছে চাপা ক্ষোভ।
পর্যবেক্ষক মহল বলছে, লন্ডন বৈঠকের ফসল ভালোভাবে ঘরে তুলতে হলে অবশিষ্ট এই চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত দূর করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে প্রতিপক্ষরা আরও সক্রিয় হবে। এর ফলে লন্ডন বৈঠকের স্বস্তির পরিবেশ বেশিদিন ধরে রাখা কঠিন হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কালের কণ্ঠ
রোহিঙ্গা বিদ্রোহের আশঙ্কা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উসকানি দিচ্ছে। এতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সংঘাতের পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণকারী ব্রাসেলসভিত্তিক নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। আজ বুধবার সকালে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ক্রাইসিস গ্রুপের মায়ানমার ও বাংলাদেশবিষয়ক সিনিয়র কনসালট্যান্ট থমাস কিন বলেন, ‘গত ছয় মাস রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় শরণার্থী শিবিরগুলোতে তাদের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগত লড়াই করেনি এবং শরণার্থীদের নিজেদের দলে ভেড়ানোর কাজ জোরদার করেছে।
এখন উত্তর রাখাইন রাজ্যের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বলা হচ্ছে, তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা।’ থমাস কিন বলেন, ‘এ ধরনের বিদ্রোহ সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
তবে এটি সীমান্তের উভয় পাশেই ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের যেকোনো সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দিতে পারে।’ েক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচিত, রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ত্রাণসহায়তা ও সীমান্ত বাণিজ্য জোরদার করা এবং একই সঙ্গে শরণার্থী শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব কমানো। অন্যদিকে আরাকান আর্মির উচিত, রাখাইনের সব সমপ্রদায়ের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শাসন পরিচালনার চেষ্টা করা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
বেকারত্বে বন্দি তরুণ প্রজন্ম
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ। কিন্তু তাদের একটি বিশাল অংশই সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তবে এর মধ্যে একটি অংশ টিউশনি করে সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছেন। সরকারি চাকরির সীমিত সুযোগ, বেসরকারি খাতে স্বল্প বেতন ও নিরাপত্তাহীনতা আর ব্যবসা শুরু করার জটিলতা- এই তিনটি প্রধান কারণে তরুণরা যেন এক ধরনের ‘বেকারত্বের ফাঁদে’ বন্দি হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ।
গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ। ২০২৩ সালে বেকারের সংখ্যা ছিল সাড়ে ২৫ লাখ। বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমেছে ১৭ লাখ ২০ হাজার। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজারে।
একই সঙ্গে কমেছে যুব শ্রমশক্তিও। ২০২৩ সালে যা ছিল ২ কোটি ৬৭ লাখ, ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে ২ কোটি ২৬ লাখে। অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বেকারদের বড় অংশই শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের মধ্যে চাকরি পায় খুব অল্পই। তাও ভালো মজুরি পায় না। আমাদের বিশ্লেষণে, অনেক তরুণই বর্তমানে শিক্ষা ও কর্মে নেই। তাদের অনেকে হতাশায় ভুগছে।’
স্বপ্নগুলো আটকে আছে বিসিএস আর এনজিওতে : জাতীয় জনসংখ্যা ও গৃহগণনা ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি। এরা সক্রিয় শ্রমশক্তির প্রধান অংশ। এদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করছেন। অনেকেই বছরের পর বছর শুধু বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) বা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, বেসরকারি সংস্থায়ও আছে (এনজিও) প্রতিযোগিতা তুঙ্গে।
তৌফিকুল ইসলাম অর্থনীতিতে এক বছর আগে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। বর্তমানে বেকার তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বেসরকারি চাকরিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনে ঢুকলে ঢাকা শহরে টিকে থাকা সম্ভব না। সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু প্রতিযোগিতা ভয়ানক।’ অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিসিএস বা সরকারি পরীক্ষায় টিকেই বা কয়জন? যদি সবাই শুধু সরকারি চাকরির পেছনে ছুটে, তাহলে দেশের অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে যাবে। আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিনিয়োগকারীরা দেশেই দক্ষ কর্মী না পেয়ে বিদেশ থেকে কর্মী আনেন। কর্মসংস্থান ও দক্ষতার মধ্যে এই ব্যবধান দূর করতে হবে।’
বণিক বার্তা
আবেদন জমা পড়েছে হাজারের বেশি, চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি একটিও
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি নয়, এমন বড় ঋণ পুনর্গঠনে (পুনঃতফসিল) একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৩০ জানুয়ারি গঠন করা এ কমিটির কাছে হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু যাচাই-বাছাই শেষে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এতে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বাড়ছে। অন্যদিকে খেলাপি হয়ে যাওয়া উদ্যোক্তাদের বিপর্যয়ও গভীর হচ্ছে।
৫০ কোটি বা তার বেশি অংকের খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে জানুয়ারিতে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নথিপত্রের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত কমিটির কাছে ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে পর্যালোচনা শেষে আবেদন বাছাই করা হয়েছে ৫৬টি। ঋণদাতা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) এসব আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার কথা। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনেরই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। কিছু ব্যাংক সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ঋণ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও অন্য ব্যাংকগুলো ঝুলিয়ে রেখেছে। গত সাড়ে চার মাসে বাছাই কমিটি ১৩টি সভা করেছে বলে জানা গেছে।
কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে এমন একজন আবেদনকারী ব্যবসায়ী নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অনেক দৌড়ঝাঁপের পর কমিটির সভায় আমার আবেদনটি বাছাই হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার ঋণ পুনর্গঠন হওয়ার কথা। দুটি ব্যাংক ঋণ পুনর্গঠনে এগিয়ে এলেও ঋণদাতা অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখনো সাড়া দেয়নি। এ কারণে কমিটির সভায় বাছাইয়ের পরও ঋণখেলাপির পরিচিতি থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছি না।’
দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, ভোগ্যপণ্য আমদানি, চামড়া শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের অর্ধডজনের বেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নানা কারণে ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এখন যত দ্রুত খেলাপিমুক্ত হওয়া যায়, ততই নিজের ও দেশের জন্য মঙ্গল। দিন যত যাচ্ছে, বন্ধ কারখানার পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। ঋণ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত যদি আসেই, সেটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হওয়া দরকার। অন্যথায় পুনর্গঠনের সুযোগ পেলেও সেটি কোনো কাজে লাগবে না।
মানবজমিন
ইরানে ভীতিকর অবস্থায় বাংলাদেশিরা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে থাকা প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এদের মধ্যে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ’খানেক বাংলাদেশিকে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দূতাবাসের কূটনীতিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের কাজ চলছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পরররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী। সচিবের ভাষ্য মতে, তেহরানে ভীতিকর অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশিরা।
নিরাপদ স্থানে তাদের সরিয়ে নেয়াও চ্যালেঞ্জিং। ইরানে ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে যারা তেহরানে আছেন তাদের নিয়ে আমরা বেশি উদ্বিগ্ন। এই সংখ্যাটা ৪০০ হবে। তারাই হামলায় সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। সচিব জানান, আতঙ্কগ্রস্ত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দূতাবাসকে। তেহরান ছাড়াও আশপাশের দেশের শহরগুলোতে খোঁজখবর রাখছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস। সেই সব এলাকায় থাকা বাংলাদেশিদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, অচিরেই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের উদ্যোগ চায় বাংলাদেশ। ঢাকায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশিদের জন্য ইরান ত্যাগ করা কঠিন। নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকাও পাঠানো যাচ্ছে না।
রেডিও ভবনে হামলা, প্রাণে বাঁচলেন ৮ বাংলাদেশি: এদিকে ইরানের রেডিও’র প্রধান দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ৮ বাংলাদেশি। তারা হামলার সময় ওই ভবনেই ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জানান, ওই হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারা ভালো আছেন। তারা সম্ভবত তেহরান রেডিও’র বাংলা বিভাগে কাজ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত, দু’জন কর্মকর্তা, পাঁচজন কর্মচারী এবং তাদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। রেডিও তেহরানে আটজন বাংলাদেশি ও তাদের পরিবারসহ রয়েছেন ২৭ জন। তেহরানে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। পেশাজীবী আছেন প্রায় ১০ জন। এ ছাড়া, ২৮ জন বাংলাদেশির গত ১৩ই জুন দেশে ফেরার কথা ছিল।
কিন্তু বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকা পড়েছেন। সবমিলিয়ে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। ইরানের অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি আছেন, তারা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সে দেশে বসবাস করছেন। সেখানে বিয়ে করে তারা স্থায়ী। এর বাইরে আরও প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ইরানে অবস্থান করে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। প্রায় ২০০-এর মতো শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। এ ছাড়া, মানব পাচারের ট্রানজিট দেশ হিসেবে ইরানে সবসময় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি অবস্থান করেন অন্য দেশে পাচার হওয়ার অপেক্ষায়। ইরানে থাকা সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসগুলো সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের জীবনের ঝুঁকি থাকায় তিনি সোমবার (১৬ই জুন) রাতে নিজের বাসভবন ছেড়ে আরেকটি নিরাপদ জায়গায় ছিলেন।
ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবারও ইরানের সামরিক বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও।
গতকাল সংঘাতের পঞ্চম দিনেও দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলার দাবি করেছে ইরান। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির হার্জলিয়া শহরের একটি ‘স্পর্শকাতর’ স্থানে হামলার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
গতকাল ইরানের যে সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করা হয়েছে, তাঁর নাম আলী সাদমানি। তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) খাতাম আল-আনিবিয়া শাখার প্রধান। সাদমানি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ নিয়ে পাঁচ দিনে ইরানের সেনাপ্রধান ও আইআরজিসির প্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ
প্রথম আলো
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, থেমে নেই ইরানও
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইরানের কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা। দেশটির আরও ১০টি পারমাণবিক লক্ষ্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থাগুলোতেও। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ইরানের তিন ভাগের এক ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এর পাশাপাশি ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কার্যালয়, গ্যাসক্ষেত্র, জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার, বিমানবন্দর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা হয়েছে ইরানের বেসরকারি স্থাপনাতে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাই বেসামরিক নাগরিক।
আয়াতুল্লাহ খামেনিকেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ। তিনি বলেছেন, ‘ইরানের প্রতিবেশী দেশের স্বৈরশাসকের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা স্মরণ করতে পারেন খামেনি।’ এই স্বৈরশাসক বলতে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন কাৎজ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাদ্দাম। ২০০৬ সালে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
গতকাল সারা দিন ও রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাতে হামলা হয় ইস্পাহান প্রদেশেও। আগের দিন সোমবার মধ্যরাতে তেহরানের পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের পর ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এ সময় শহরটি থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সোমবার ভোরে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে সে সময় পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হন। তবে গতকাল ইরানের কাশান শহরে আরও তিনজন নিহত ও চারজন আহত হন বলে জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ। এ ছাড়া ইরানের লোরেস্তান প্রদেশে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোররামাবাদ শহরের মেয়র রেজা সেপাহবান্দ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবির ভবনে সোমবার রাতে হামলার পর সেখানেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই ভবনে থাকা আইআরআইবির তিনজন কর্মী নিহত হয়েছেন। ক্রমেই হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক ও নার্সকে নিজেদের কর্মস্থলে ফিরতে বলেছেন ইরানের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সায়েদ সাজ্জাদ রাজাভি।
এরই মধ্যে গতকাল রাতে ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ‘শত্রুপক্ষের ২৮টি আকাশযান’ ধ্বংস করেছে। সেগুলোর মধ্যে একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী ড্রোনও রয়েছে। এর আগের ইসরায়েলের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল তেহরান।
- এটিআর
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন