জলাতঙ্ক প্রতিষেধক সংকট
কালীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক আহত

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। অনেকেই গুরুতর অবস্থায় গাজীপুর সদর, টংঙ্গী ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক না থাকায় আক্রান্তরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। যদিও বাইরের উৎস থেকে প্রতিষেধক সংগ্রহ করা হলে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে প্রতিষেধক বিক্রি করছেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের অসন্তোষ রয়েছে।
দুর্বাটি গ্রামের মোখলেস উদ্দিন জানান, তার দুই বছরের শিশু মাশরিফকে গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে বেওয়ারিশ কুকুর কামড়ায়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে টিকা না পাওয়ায় শিশুটিকে গাজীপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভা ও আশপাশের সাতটি ইউনিয়নে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুরের দল। অনেক পথচারী, যানবাহন চালক ও শিক্ষার্থী কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, যার কারণে আতঙ্কে শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে আইনি বাধা থাকায় তারা কিছু করতে পারছেন না। আগে কুকুর ধরার প্রকল্প ছিল, তবে তা এখন বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজওয়ানা রশীদ জানান, বর্তমানে সরকারিভাবে ডগ ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ। তবে কামড়ানোর পর দ্রুত সাবান-পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাদের এখানে টিকা না থাকলেও বাইরে থেকে তা এনে প্রয়োগ করা যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ জানান, প্রাণী অধিকার রক্ষায় কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত দাম ধারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআরএস