
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১৬:৩৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২২০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। শরনার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ খোকার তথ্যমতে, প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অনুপ্রবেশ করছে। নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে জাতিসংঘের আহ্বানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত দেড় বছরে ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আরও ৫ থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।
একই সময়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে জন্মহারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৯০টি নবজাতক জন্ম নিচ্ছে, অর্থাৎ বছরে প্রায় ৩০ হাজার।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান জানান, সীমান্তে পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকা, কাটাতারের দুর্বল বেষ্টনী ও আধুনিক প্রযুক্তির ঘাটতির কারণে নজরদারিতে বিঘ্ন ঘটছে।
শরণার্থী অফিস জানায়, চলতি বছরের ১ মে পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) নতুনদের জন্য আবাসনের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে। তবে সরকার এখনো জবাব দেয়নি।
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডুতে আরাকান আর্মির হামলার কারণে বহু রোহিঙ্গা স্বজনদের সহায়তায় পালিয়ে আসছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টহল জোরদার এবং মাদক-মানব পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এআরএস
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন