ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৩.৯৮ শতাংশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৩:২০
-6859004c2c08c.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়কালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ৬.৫১ বিলিয়নের তুলনায় ২৩.৯৮ শতাংশ বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় রপ্তানির পরিমাণে ১৯.৭১ শতাংশ এবং ইউনিট মূল্যে ৩.৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রপ্তানির টেকসই ও সুষম প্রবৃদ্ধিকে নির্দেশ করে।
এ সময় পুরো ইইউ'র বৈশ্বিক বাণিজ্য ১৪.২১ শতাংশ বেড়ে ৩২.৪৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যেখানে রপ্তানি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫.৮৪ শতাংশ এবং ইউনিট মূল্য কমেছে ১.৪১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া ইউরোপীয় বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চীনের রপ্তানি বেড়ে ৮.৩৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা ২১.৪৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। চীন একই সঙ্গে ইউনিট মূল্যে ৭.৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার রপ্তানি যথাক্রমে ২.০১, ১.৪২ ও ১.৫৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৫৮%, ২৩.৪২% এবং ৩১.৭৮%। অন্যদিকে তুরস্কের রপ্তানি ৫.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩.১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ভিয়েতনাম ১৫.৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ৫.৬৮ শতাংশ ইউনিট মূল্য বৃদ্ধিসহ রপ্তানি করেছে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার।
বিজিএমইএ'র সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ইইউ'র বাজারে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান শক্তিশালী হলেও চীন ও ভিয়েতনামের বাড়তি প্রতিযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উত্তেজনা বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনকে বাধাগ্রস্ত করছে, যা বাণিজ্য খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলছেন, বাংলাদেশকে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে ইইউ'র নতুন ও আসন্ন নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি বাজার বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে, যাতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিনির্ভরতা কমিয়ে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলা করা যায়।
এএইচএস/এএ
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন